দর্পণ ডেস্ক : এবার জেনে নেয়া যাক, ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে যত্ন নেবেন শাড়িগুলির৷
শাড়ি ঝুলিয়ে রাখবেন না:
শাড়ি ভাল রাখতে চাইলে, আলমারিতে তা ঝুলিয়ে রাখবেন না৷ তাতে জরি ছিঁড়ে যাওয়ার সমস্যা যেমন তৈরি হয়, তেমনই আবার পোকামাকড় শাড়িতে আক্রমণও করতে পারে খুব সহজেই৷
ন্যাপথলিন:
আলমারিতে গুছিয়ে রাখা শাড়িও কিন্তু সবসময় সুরক্ষিত নয়৷ কে বলতে পারে কখন পোকামাকড় ঢুকে আপনার প্রিয় শাড়ির বারোটা বাজায়? তাই আগাম সতর্ক হোন৷ ব্যবস্থা নিন৷ আলমারির কোণায় কোণায় দিয়ে রাখুন ন্যাপথলিন৷ আলমারিতে রাখতে পারেন নিমপাতাও৷
দাগ তুলুন ঘরোয়া পন্থায়:
ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সহজেই তুলে ফেলুন দাগ৷ ঠান্ডা জল দিয়ে ওই দাগ লাগা জায়গাটি ধুয়ে ফেলুন৷ তাতেও দাগ না উঠলে ব্যবহার করুন সাবান৷ তৈলাক্ত কিছু শাড়িতে লাগলে, সেই দাগ তোলার জন্য ব্যবহার করুন পাউডার অথবা গ্লিসারিন৷
ভাঁজ পরিবর্তন করুন:
নিশ্চয়ই সিল্কের শাড়ি রয়েছে৷ পরলেন আর তারপর ভাঁজ করে রেখে দিলেন দিনের পর দিন৷ তারপর হঠাৎ মাসছয়েক পর আপনার মনে হল ওই শাড়িটা পরে বেরোলে কেমন হয়? শাড়ি বের করতে গিয়েই দেখলেন, ততক্ষণে তার দফারফা হয়ে গিয়েছে৷ ভাবুন তো চোখের সামনে প্রিয় শাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে, মন খারাপ হবে না? সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহ অন্তর অন্তর শাড়ির ভাঁজ পরিবর্তন করুন৷ এভাবে জড়ি ছিঁড়ে যাওয়া কিংবা ভাঁজে ভাঁজে শাড়ি কেটে যাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন আপনি৷
ভিনিগারের ব্যবহার:
সিল্ক শাড়ির উজ্জ্বলতা হারিয়ে গেলেই শেষ৷ ব্যস, আর ওই শাড়ি পরার যোগ্য থাকে না৷ ঘরোয়া পদ্ধতিতে সিল্ক শাড়ির ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখা সম্ভব৷ এক বালতি জলের মধ্যে একটু ভিনিগার নিন৷ এবার ওই জলে শাড়ির জরি অংশ ডুবিয়ে তুলে নিন৷ শাড়ি শুকিয়ে পরে ইস্ত্রি করে নিন৷ এরপর চমক দেখবেন নিজে চোখেই৷