আসিয়াই ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম মহিলা, যাঁকে ধর্ম অবমাননার আইনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯ সালে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী আসিয়ার বিরুদ্ধে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ আনেন কিছু প্রতিবেশী। আসিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১০ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। ২০১৪ সালে লাহোর হাইকোর্টেও বহাল ছিল সেই সাজা। বুধবার ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসিয়া বিবিকে মুক্তি দিয়েছেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।

সেই রায়ের বিরোধিতায় দেশজুড়ে অবরোধ, বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পাক কট্টরপন্থী দলগুলো। তিন দিন টানা এই অবস্থা চলার পরে অবশেষে সরকারি হস্তক্ষেপে শুক্রবার রাত থেকে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিক্ষোভ-আন্দোলনের মূল দায়িত্বে থাকা কট্টরপন্থী দল তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তান (টিএলপি)-এর মুখপাত্র পির ইজাজ কাদরি জানান, সমঝোতায় এসেছে সরকার। এই বিষয়ে কয়েকটি চুক্তি হয়েছে। তাই আন্দোলন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টিএলপি-র দাবিতে সিলমোহর দিয়েছে সরকারও। সূত্রের খবর, চুক্তি অনুযায়ী এ বার সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করবে টিএলপি।

জানা গেছে, মুক্তি পেলেও পাকিস্তানে প্রাণসংশয় থাকায় আসিয়া দেশ ছাড়তে পারেন। কিন্তু আসিয়ার দেশ ছাড়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এই নিষেধাজ্ঞা টিএলপি-র সঙ্গে হওয়া চুক্তিরই প্রথম ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে। দেশ ছেড়ে ইউরোপে আশ্রয় নিয়েছেন আসিয়ার আইনজীবী সইফুল মুলুক। তিনি জানান, দেশে থাকাটা নিরাপদ নয়। তবে বাইরে থেকেও আসিয়ার জন্য লড়বেন।