মিয়ানমার সফর শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য বিষয়ক কমিশনার সিসিলি ম্যালমস্ট্রোম বলেন, ভালো কোনো কিছু নিয়ে আসতে বাণিজ্য একটি শক্তিশালী মাধ্যম।
ম্যালমস্ট্রোম বলেন, শ্রম অধিকার ও মৌলিক মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে ইউরোপীয় বাজারে বাণিজ্য অগ্রাধিকার ও শুল্কমুক্ত প্রবেশ সুবিধা এক ধরনের উৎসাহ হিসেবে কাজ করে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতেই আমরা কাজ করছি।
‘আমরা মিয়ানমারের কাছে আশা করছি, পর্যবেক্ষণ মিশন চলার সময় আমরা যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেছি, তারা দ্রুতই সেসব সমাধান করবে।’
তিনি বলেন, দেশটি যদি সে অনুসারে কাজ না করে, তবে ইউরোপীয় বাজারে মিয়ানমারের শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা হুমকিতে পড়বে।
ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইউরোপীয় কর্মকর্তারা বুধবার মিয়ানমারে তাদের চারদিনের তথ্য অনুসন্ধানী মিশন শেষ করেছেন।
এতে দেশটির তৈরি পোশাক খাতের হাজার হাজার লোভনীয় চাকরি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। দোহাভিত্তিক আলজাজিরার এক খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
সে অনুসারে রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেনাবাহিনীর নিপীড়ন ও মিয়ানমারে অন্যত্র যে সহিংসতা চলছে, তার জবাবে কঠোর পদক্ষেপ নিতে চায় ইইউ।
মিয়ানমারের বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ জব্দ তালিকায় অন্তভুক্ত রয়েছেন।
অস্ত্র কর্মসূচি ছাড়া বাকি সবকিছুতে ইউরোপীয় বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে মিয়ানমার। ইইউ এখন সেই সুবিধা বাতিলে কথা ভাবছে।