দর্পণ ডেস্ক : আঁখি আক্তার (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রীকে গত সাত মাস ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল বখাটে সাকিব। উত্ত্যক্ত করার অপরাধে ১৫ দিনের কারাভোগও করে সাকিব। কারাগার থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সময়ে আখিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলো সাকিব। এ হুমকি সইতে না পেরে বুধবার রাতে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নানাখী গুলনগর গ্রামের শাহজাহানের মেয়ে আঁখি আক্তার। সে সাদিপুর ইউনিয়নের পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তার আত্মহননের খবর পেয়ে সহপাঠী শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চমীঘাট স্কুলের বাইরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। পরে পুলিশ এসে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের আশ্বাস দিলে তারা শান্ত হয়।

নানাখী মধ্যপাড়া গ্রামের মনির হোসেনের বখাটে ছেলে সাকিব আঁখিকে উত্ত্যক্ত ও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ৮ অক্টোবর রাজি না হওয়ায় স্কুলের সামনে আঁখিকে কিল-ঘুষি-লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয় সাকিব ও তার সহযোগীরা। এ সময় আঁখির ডান গাল কেটে রক্তাক্ত জখম হলে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। এই ঘটনার পর আঁখির পরিবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে থানায় একটি অভিযোগ করে।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের সহযোগিতায় গত ১৫ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীনুর ইসলাম যৌন হয়রানির অভিযোগে সাকিবকে আটক করে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন। কারাদণ্ড শেষে মুক্ত হয়ে বুধবার রাতে ফোন করে আঁখিকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় সাকিব।

সোনারগাঁ থানার ওসি মো. মোরশেদ আলম জানান, আঁখি আক্তারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।