দর্পণ ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় স্বামীর পাঠানো তালাকপত্র পেয়ে রোকেয়া বেগম (৩৩) নামে দুই সন্তানের জননী আত্মহত্যা করেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের আব্দুল মজিদ চৌধুরীর মালিকানাধীন মাস্টার ভিলায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রোকেয়া। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত রোকেয়া উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের নয়ারহাট এলাকার কবিরাজ বাড়ির প্রবাসী ইব্রাহিম হোসেন লিটনের স্ত্রী।

রোকেয়ার স্বজনরা জানান, রোকেয়ার স্বামী ইব্রাহীম গত পাঁচ বছর ধরে প্রবাসে রয়েছেন। দুই বছর ধরে রায়পুর শহরে বাসা ভাড়া করে এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে ও চতুর্থ শ্রেণির ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেছিলেন রোকেয়া।

এক বছর ধরে রোকেয়া ও ইব্রাহীমের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। গত ১০ মে ইব্রাহীম প্রবাস থেকে আদালতের মাধ্যমে রোকেয়াকে তালাকপত্র পাঠান। বুধবার সেই তালাকপত্র রোকেয়ার কাছে পৌঁছায়।

তালাকপত্র পেয়ে স্বামীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার সকালে রোকেয়ার প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ক্ষোভে, দুঃখে ও অভিমানে দুপুর ২টার দিকে চিরকুট লেখেন রোকেয়া। চিরকুটে তিনি লেখেন, স্বামীর তালাকপত্র পেয়ে সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হলাম, আমার লাশটি বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিও। সাদা কাগজে এই চিরকুট লেখে মেয়ের অনুপস্থিতে ও ছেলেকে ঘুমিয়ে রেখে বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রোকেয়া।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রায়পুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোলাইমান হোসেন বলেন, গৃহবধূ রোকেয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা করেছেন। গৃহবধূর লেখা চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।