চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারীতে বুধবার রাত আটটার দিকে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণের আগুনে একই পরিবারের তিনজনসহ তিন পরিবারের মোট ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। বিস্ফোরণের আগুনে দগ্ধদের মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের মধ্যে রয়েছে ২ বছরের তামিম ও ১২ রাজিয়া সুলতানা (১২)। বুধবার ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে এ দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. নারায়ণ ধর জানান, তানিম ও রাজিয়া সুলতানা রাতের শেষ দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।
নিহত তামিমের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়েছিলো। আর রাজিয়া সুলতানা মীমের শরীরের শতভাগ পুড়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই তারা অচেতন ছিলো।
নিহত তানিমের মা সুমাইয়া আকতার (২৫), তার এক বছর বয়সী শিশু ইয়ামিন এবং পাশের বাসার রুবি আকতার (১৫) সেই বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।
বুধবার রাত ৮টার দিকে জেলার হাটহাজারীর আমান বাজার এলাকার খোশাল শাহ রোডের একটি তিনতলার ভবনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
হাটহাজারী থানার অফিসার ইনচার্জ বেলাল উদ্দীন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ভবনটির আনোয়ার হোসেন নামের এক ভাড়াটের রান্নাঘরের গ্যাসলাইন বিস্ফোরিত হওয়ার সাথে সাথে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তারা ৫জনই দগ্ধ হয়েছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ দগ্ধ পাঁচজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করান।
তানিমের বাবা আনোয়ার আমান বাজার এলাকায় একটি কুলিং কর্নার চালাতেন। আগের দিন মঙ্গলবার সকালে তারা ওই ভাড়া বাসায় উঠেন।
আনোয়ার জানান, সন্ধ্যার পর অগ্নিদগ্ধ হয়ে স্ত্রী সুমাইয়া পোড়া শরীর নিয়েই দৌড়ে আনোয়ারের দোকানের দিকে চলে আসেন। তবে দৌকানে পৌঁছার আগেই রাস্তায় জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। এদিকে প্রতিবেশীরা দ্রুত অন্যদেরকে উদ্ধার করেন।