নিজেদের ট্রাভেল ব্লগের নাম রেখেছিলেন ‘হলিডেস অ্যান্ড হ্যাপিলি এভার আফটার’। বিপজ্জনক পাহাড় চূড়ার রহস্য চুম্বকের মতো টানত ভারতীয় এই যুগলকে।বিশ্বের আনাচকানাচ ঘুরে বেড়ানোর শখ ছিল তরুণ দম্পতির। নেশা ছিল অ্যা়ডভেঞ্চারের। সেই আকর্ষণেই হাজির হয়েছিলেন ক্যালিফর্নিয়ার ইয়োসেমেটি ন্যাশনাল পার্কে। বৃহস্পতিবার পার্কের ‘ট্রাফ্ট পয়েন্ট’-এর তলা থেকে তাঁদের দেহ দু’টি উদ্ধার করেন পার্ক কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ৮০০ ফুট নীচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বিষ্ণু বিশ্বনাথ (২৯) ও মীনাক্ষী মূর্তির (৩০)।

বিষ্ণু ও মীনাক্ষী দু’জনেই কেরলের চেঙ্গান্নুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। ছ’মাস আগে বিষ্ণু সান হোসের একটি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি পাওয়ার পর আমেরিকায় চলে আসে এই দম্পতি। তাঁরা দু’জনেই পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। বিয়ে করেছিলেন ২০১৪ সালে। বিষ্ণুর ফেসবুকে পেজে এখনও জ্বলজ্বল করছে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে খাদের ধারে দাঁড়িয়ে দু’জনের ছবি।

পার্কের তরফে প্রথমে জানানো হয়েছিল, হেলিকপ্টারের সাহায্য নিয়ে ও রেঞ্জার পাঠিয়ে এক মহিলা ও পুরুষ পর্যটকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ২৫ অক্টোবর দুপুরে। পরে তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়। পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ‘ট্রাফ্ট পয়েন্ট’-এর ঠিক তলায় পাহাড়ের খাঁজ থেকে দেহ দু’টি উদ্ধার হয়। ওই বিশেষ চুড়োটি থেকে ধরা পড়ে গোটা ইয়োসেমেটি উপত্যকার সৌন্দর্য।

পার্কের মুখপাত্র জেমি রিচার্ড বলেছেন, ‘‘কীভাবে ওই দু’জনের মৃত্যু হল তা জানা যায়নি। হয়তো কখনও জানাও যাবে না। তদন্ত চলছে।’’ তবে পাহাড়ের প্রান্তে দাঁড়িয়ে নিজস্বী তোলার সময়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। পর্যটকরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ওই পার্কে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন পর্যটক।