সাবেক শিক্ষা সচিব ও বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর মো. নজরুল ইসলাম খানের মা আয়েশা খান সোমবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় যশোর সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি মৃত্যুকালে পাঁচ পুত্র এবং এক কন্যাসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

মো. নজরুল ইসলাম খানের মা আয়েশা খান ৮৮ বছর বয়সে যশোর সদর হাসপাতালে ডাক্তারদের আন্তরিক প্রচেষ্টার পরও আজ ২৯ অক্টোবর দুপুর ১২ টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সোমবার রাত নয়টার দিকে নামাজে জানাজা শেষে যশোরের মণিরামপুরের পারিবারিক কবরস্থানে আয়েশা খানকে দাফন করা হয়েছে।

এন আই খানের মাতৃবিয়োগে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব), স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদ, বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদ এবং বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এক শোক বার্তায় ইরাবের নেতারা মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

মাতৃবিয়োগে শোকাহত এন আই খান সোমবার রাতে নিজ ফেসবুকে লেখেন,  “আমি বাড়ীর বড় ছেলে। যখন জমিতে জো হতো ধান বা পাটের ক্ষেত নিড়ানো কিংবা ধান রোয়ার জন্য অনেক কিষান নেয়া হতো। তাদের কাছ থেকে ভালো কাজ নেয়ার জন্য দু’বেলা খেতে দিতে হতো। সকালে ক্ষীর আর গুড় দেয়া হতো। গরম ক্ষীর আমাকে মাথায় করে স্কুলের আগে মাঠে নিতে হতো। তখন আমি শিশু। আব্বার নির্দেশে মা কাদতে কাদতে মাথায় গামছার বিড়ে দিতেন যেন গরমে ছেলের ব্রেন নষ্ট না হয়। নানা কারণে মা ঢাকায় স্বচ্ছন্দবোধ করেননি। গ্রামের মানুষের মত থেকেছেন। শেষের দিকে ছোট ভাই হাবিবের বাসায় যত্নে থেকেছেন। তখন ঢাকায় আসতে মত দিতেন কিন্তু আনা হয়নি। মনঢেলে সরকারের কাজ করেছি পরিবারের কারও খোঁজ তেমন একটা নেয়া হয়নি। মেয়েরা অভিযোগ করছে উত্তর দিয়েছি। মা অভিযোগ করেনি উত্তরও দেয়া হয়নি। মনে অপরাধবোধ খোঁচা দিচ্ছে।”

মৃত্যুর খবর শুনে রাতে মরহুমার বাসভবনে ছুটে যান যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনছার উদ্দীন, জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধূরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ইয়াকুব আলী, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম মিলন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেনসহ প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।