দর্পণ ডেস্ক : বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের প্রস্তুতি চলছিল লাশটির। ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার মেশিন’ দিয়ে তার আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। মুহূর্তেই জানা যায় তার পরিচয়- নাম আবদুল মান্নান মুন্সী। বয়স ৬১ বছর। বাবার নাম নাজির উদ্দিন মুন্সী, মায়ের নাম আমেনা খাতুন। মাদারীপুর সদরের মহিষের চর এলাকায় তার বাড়ি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষা মুলুক ভাবে এই ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিনটি চালানো হয়। বেশ কিছু অজ্ঞাতপরিচয় লাশ এভাবে যন্ত্রের মাধ্যমে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে ইদানীং। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে চলছে এই কার্যক্রম। পরীক্ষার ফল সন্তোষজনক হলে অদূরভবিষ্যতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ যন্ত্র ব্যবহার করবে পুলিশ।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার মেশিন ব্যবহার করা হচ্ছে। এটির মাধ্যমে হাতের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যভাণ্ডার থেকে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে জানা যায়। এমনকি গ্রেফতারকৃত আসামি মিথ্যা নাম-পরিচয় বললে সেটাও তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা যাবে। এতে মামলার তদন্ত ও সংশ্নিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে বলে আশা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।