অনলাইন ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের কাজিপুর ও কামারখন্দ এবং মাগুরার অক্কুর পাড়া, রায়গ্রাম ও শালিখায় বজ্রপাতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। রোববার সকালে এসব ঘটনা ঘটে।
সিরাজগঞ্জে নিহতরা হলেন কাজিপুরের ডিগ্রি তেকানী গ্রামের মৃত পরেশ মন্ডলের ছেলে শামছুল মন্ডল (৫৫) ও শামছুল মন্ডলের ছেলে আরমান (১৪) এবং কামারখন্দের পেস্তককুড়া গ্রামের মৃত আহের মন্ডলের ছেলে কাদের হোসেন (৩৭)।
কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ জানান, রোববার সকালে ডিগ্রি তেকানী চরে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বাদাম তুলছিলেন শামছুল। এ সময় বজ্রপাতে দুজনই ঝলসে যান। পরে তাদের উদ্ধার করে কাজিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে দুজনেরই মৃত্যু হয়।
অপরদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কামারখন্দ উপজেলার পেস্তককুড়া গ্রামের একটি ধানক্ষেতে বজ্রপাতে কাদের হোসেন (৩৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আহের মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, কৃষক কাদের হোসেন বাড়ির পাশেই নিজের ক্ষেতের ধান কাটছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই বজ্রপাত হলে তার শরীর ঝলসে যায়। তাকেও উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে মারা যান।
কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তানজিলা বেগম বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে মাগুরা সদর থানার এসআই আশরাফ হোসেন জানান, সদরের অক্কুর পাড়ায় বজ্রপাতে নিহত ব্যাক্তির নাম শামীম। তিনি পেশায় ভ্যান চালক। সকালে বৃষ্টির সময় তিনি ভ্যান চালিয়ে মাগুরা থেকে শ্রীপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। সদরের রায়গ্রামে বজ্রপাতে নিহত অপর ব্যাক্তির নাম আলম। তিনি সদর উপজেলার ব্লুগ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। মাগুরা থেকে বাড়ি ফেরার সময় তিনি বজ্রপাতের শিকার হন।
এছাড়াও জেলার শালিখার উপজেলার বুনাগাতী এলাকায় একটি মোবাইল টাওয়ারে কাজ করার সময় মেহেদী নামে এক যুবক বজ্রপাতের শিকার হন। তিনি জয়পুরহাট জেলার মনপুরা এলাকার আলম মিয়ার ছেলে। পরে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষিত পাল মেহেদীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।