দর্পণ ডেস্ক : শিশুদের সমাপনী  পরীক্ষাকে মূল পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আবার অনেক স্কুলে তিনটি পরীক্ষা যোগ করে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। যেভাবেই হোক প্রতিটি পরীক্ষাই শিশুর জন্য সমান গুরুত্বের।

এক্ষেত্রে কোনো একটি পরীক্ষাকে অবহেলা করলে শিশুর নিয়মানুবর্তিতায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এখন ক্ষতির তুলনা না করে বরং সামনে যা তাই নিয়ে প্রস্তুত হওয়া উচিত।

অভিভাবক হিসেবে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কেননা, শিশু বয়স থেকেই তাকে স্কুল, পড়াশোনা, পরীক্ষার সাথে সংযোগ করতে না পারলে আদতে শিশুর মেধার ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

আসুন জেনে নেই শিশুর সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে।

হাতে সময় রাখুন

শিশুর পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে বাবা-মা হাতে সময় রাখেন। শিশুর স্কুল ও লেখাপড়ার দিকে নজর দিতে হবে। তাই সবার আগে নিজেকে একটু ফ্রি করে নিন।

আলাদা সময় বরাদ্দ রাখুন

অনেক ব্যস্ত থাকলেও শিশুর জন্য কিছুটা সময় আলাদা বরাদ্দ রাখুন। পড়ার প্রতি শিশুর মনোযোগ বাড়ান।

টেবিলে বসুন

নিয়মিত শিশুটিকে নিয়ে টেবিলে বসুন। তার সিলেবাস খুব ভালোভাবে নিজের দখলে নিয়ে নিন।

পড়া ও লেখা

প্রতিটি বিষয় কয়েকবার করে পাঠ করুন ও পাঠ করান। বারবার পাঠ করাতে করাতে অধ্যায়গুলোর সাথে শিশুকে পরিচয় করিয়ে দিন। এছাড়া লেখার অভ্যাস করুন। পড়া বেশি মনে রাখতে চাইলে লেখা ভালো।

বন্ধুর মতো আলোচনা

শুধু মুখস্থের উপর জোর না দিয়ে বিষয়টি নিয়ে শিশুর সাথে বন্ধুর মতো আলোচনা করুন। যতটুকু পারা যায় তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন। না দেখে লেখার চর্চা

শিশুদের মুখস্থ-জ্ঞান প্রখর হলেও বোঝা ও মুখস্থের সাথে সাথে তাকে নিজ থেকে বাড়তি কিছু বলার-লেখার অভ্যাস গড়ে দিন। পড়ার পাশাপাশি না দেখে লেখার চর্চা করান।

পরীক্ষার চাপ

শিশুকে খেলতে খেলতে, খেতে খেতে, গল্প করতে করতে পড়াটা ধরুন। দেখুন সে কতটুকু বলতে পারে। পরীক্ষা কোনও চাপ, তা যেন সে অনুভব না করে। বাসায় পরীক্ষার মতো করে একটি পরিবেশ সাজিয়ে তাকে সহজ করতে পারেন।

প্রশ্নের উত্তর

পরীক্ষার সময় শিশুর যা যা প্রয়োজন তা আগেই গুছিয়ে রাখুন। কোনটির কী কাজ তাকে বুঝিয়ে ও চর্চা করিয়ে প্রস্তুত করুন। প্রশ্নের উত্তর লেখার সাথে সাথে খাতার পরিচ্ছন্নতাগুলোও তাকে বুঝিয়ে দিন।

মনের ভয়

কোনোভাবেই পরীক্ষা নিয়ে শিশুর মনে ভয় ধরিয়ে দেবেন না। প্রয়োজন হলে স্কুল শিক্ষকদের সাথে একান্তে পরামর্শ করুন।