দর্পণ ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় তিতলীর বৃষ্টি শরণখোলাসহ এ অঞ্চলের কৃষক ও কৃষির জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। পানির অভাবে আমন ধানের ক্ষেত হলুদ হয়ে উঠেছিলো। ফসলের চিন্তায় যখন দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। ঠিক তখন ঘূর্ণিঝড় তিতলী আমাদের ওপর আল্লাহর রহমত বয়ে নিয়ে এসেছে। কথাগুলো বলছিলেন, শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের কৃষক মমিন উদ্দিন হাওলাদার।

তিনি বলেন, বৃষ্টির পানি পেয়ে রাতারাতি ফসলের মাঠ সবুজ আকার ধারন করেছে। এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এ অঞ্চলে বৃষ্টির উপর নির্ভর করেই কৃষকরা আমনের চাষ করে থাকেন । কিন্তু গত টানা এক মাস প্রচণ্ড গরম ও খরায় আমনের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়েছিলো। পানির অভাবে ধান গাছ বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছিলো। খোন্তাকাটা গ্রামের কৃষক আঃ হক, রায়েন্দা গ্রামের কৃষক সাইদ আহমদ এবং ধানসাগর গ্রামের কৃষক সুর্যকান্ত মিস্ত্রী জানান, গত কয়েকদিনে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে তাতে তাদের হতাশা দুর হয়েছে এখন আর জমিতে সেচ দিতে হবে না।

শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌমিত্র সরকার জানান, বৃষ্টির অভাবে আমনের কাংখিত উৎপাদন নিয়ে শংকায় ছিলাম। সাম্প্রতিক বৃষ্টি আমনের বাম্পার ফলনের আশা জাগিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে মোট ৯ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১নং ধানসাগর ইউনিয়নে ২৩৫০ হেক্টর, ২ নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নে ২৪৫০ হেক্টর, ৩নং রায়েন্দা ইউনিয়নে ২৩৫০ হেক্টর, ও ৪ নং সাউথখালী ইউনিয়নে ২১২০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়। চাষকৃত জমির মধ্যে ৪৮০০ হেক্টর জমিতে উফশী ও ৪৪৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের আমন রোপন করা হয়েছে।