দর্পণ ডেস্ক : শুক্রবার কিংবদন্তি ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ সকাল ১০টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়ে। সবার শ্রদ্ধা জানানো শেষে প্রথম জানাজার জন্য মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে।
সেখা জুমার নামাজ শেষে জানাজা হয়। জানাজায় হাজারো মানুষ অংশ নেন। জানাজার নামাজ শুরু হওয়ার আগে আইয়ুব বাচ্চুর ছোট ভাই জুয়েল সবার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের প্রিয় আইয়ুব বাচ্চু সব সময় বাবা-মার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। সবাইকে নিজের বাবা-মাকে শ্রদ্ধা করতে বলতেন। এই প্রিয় মানুষ আর আমাদের মাঝে নেই। জীবনে চলার পথে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় যদি আইয়ুব বাচ্চু কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকেন তাহলে সবাই উনাকে মাফ করে দেবেন।’
আইয়ুব বাচ্চুর দ্বিতীয় জানাজা হয় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। দ্বিতীয় জানাজা শেষে এই শিল্পীর মরদেহ ফের হিমঘরে রাখা হয়।
অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে আইয়ুব বাচ্চুর মেয়ে ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব ও ছেলে আহনাফ তাজোয়ার আইয়ুব দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তারা এলে চট্টগ্রামে শনিবার (আজ) শেষ জানাজা শেষে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আইয়ুব বাচ্চু।
বৃহস্পতিবার মাত্র ৫৬ বছর বয়সে আইয়ুব বাচ্চু মারা যান। তার আকস্মিক মৃত্যুতে সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে আসে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারবাদক, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক। গিটারের জাদুকর হিসেবে আইয়ুব বাচ্চুর সুনাম ছিল।
আমিনুর