দর্পণ ডেস্ক : গত বছর ২০ অক্টোবর ফাদার মারিনো রিগনের ইতালিতেই মারা গেলেও সেখানে দাফন করা হয়নি। কারণ, মৃত্যুর আগে তিনি বাংলাদেশের মাটিতেই শেষ শয়ানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

ফাদার রিগনের ইচ্ছানুযায়ী, তার পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশ ও ইতালির সরকারের মাধ্যমে মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন। তবে অনুমতিও পেলেও সব প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগে ঠিক এক বছর। দীর্ঘ এ সময় রিগনের মরদেহ ইতালির একটি হিমঘরে রাখা হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘রোববার (২১ অক্টোবর) ফাদার রিগনের মরদেহ দেশে আসছে।’

বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের কাছে দেয়া এক চিঠিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রোববার ভোর ৫টার দিকে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে ফাদার রিগনের মরদেহ ঢাকার পৌঁছাবে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ফাদার রিগনের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানোর পর হেলিকপ্টারে করে মংলায় আনা হবে। সকাল সাড়ে ৯টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনে জন্য মরদেহ মংলা উপজেলা পরিষদ মাঠে রাখা হবে।’

‘সেখানে দুই ঘণ্টা রাখার পর ফাদার রিগনের প্রতিষ্ঠিত সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয় এবং সেন্ট পলস হাসপাতালে নেয়া হবে মরদেহ। এরপর তাকে শেলাবুনিয়ার সেন্ট পলস গির্জার সামনে গার্ড অব অনার প্রদান করে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।’

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন ফাদার মারিনো রিগন। সেই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালে তাকে বাংলাদেশের বন্ধু উপাধি দিয়ে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয় সরকার।