দর্পণ ডেস্ক : বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের নিয়োগ অনুমোদন করেছে দেশটির সিনেট।

রোববার ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেইজে দেয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছে।

তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশে আসার আগে মিলারকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব পালনের শপথ নিতে হবে।

এর আগে গত জুলাইয়ে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন আর্ল রবার্ট মিলার।

এতে বলা হয়, আফ্রিকার বতসোয়ানায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনরত আর্ল রবার্ট মিলারকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের পরিকল্পনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শিগগিরিই প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তার মনোনয়ন ঘোষণা করবে। এরপর চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন পেলেই তিনি ঢাকায় বর্তমান রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

বতসোয়ানায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে আর্ল রবার্ট মিলার ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানসবার্গে মার্কিন কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ভারতের নয়াদিল্লি, ইরাকের বাগদাদ এবং ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় যুক্তরাষ্ট্র মিশনে আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ছিলেন।

মিলার মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে ১৯৮১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কোরে যোগ দেন। তিনি ১৯৯২ সাল পর্যন্ত দেশটির মেরিন কোরে রিজার্ভ অফিসার ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই কূটনীতিবিদ ২০১৪ সাল থেকে আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় মার্কিন মিশনের দায়িত্ব সামলে আসছিলেন। ঢাকায় তিনি রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

বার্নিকাট বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন সাড়ে তিন বছর ধরে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত জুলাই মাসে মিলারকে ওই পদের জন্য মনোনীত করেন।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী মিলারকে পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক সিনেট কমিটির সামনে হাজির হতে হয়। বাংলাদেশ মিশনের দায়িত্বে তিনি কী করতে চান, কোন কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে চান- সেসব বিষয়ে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করতে হয় তাকে।

মার্কিন মেরিন কোরের সাবেক কর্মকর্তা মিলার পররাষ্ট্র দপ্তরের হয়ে কাজ করছেন ১৯৮৭ সাল থেকে।