অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ও জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের উদ্যোগে রাজধানীতে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী ঢাকা বিভাগীয় বইমেলা।
শুক্রবার বিকালে কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরে এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এই বইমেলার উদ্বোধন করেন।
৫টি সরকারি ও ৪৬টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবারের ঢাকা বইমেলায় অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা সমিতির সদস্যরা এই বইমেলায় অংশ নিচ্ছেন।
আনিসুজ্জামান বলেন, “বই আমাদের সামনে চলতে শেখায়, আমরা বই থেকে জ্ঞান ও আনন্দ লাভ করি। বই হাতে নিয়ে খুশিতে মেতে উঠি। প্রযুক্তির যতই বিকাশ হোক, বইয়ের সঙ্গে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক দূর হবে না। ই-বুক চালু হলেও ছাপা বই কেনার জন্য এখনও মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। বইয়ের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক চিরস্থায়ী, এটা কখনো মোচন হওয়ার নয়।
“আমাদের দেশে বইমেলা যত হবে, পাঠক তত বই পড়তে ও কিনতে আগ্রহী হবে, উৎসাহী হবে।”
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এক সময় ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজন করলেও পরে ২০১৩ সালের পর তা আর আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
পরে বিভাগীয় পর্যায়ে ও পরে জেলা পর্যায়ে এই আয়োজনটি চালু রাখে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে বিশ্ব সাহিত্যের সংযোগে ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা ফের চালুতে গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, “আমরা ঢাকায় যে আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজন করতাম, সেটি আবার ফিরিয়ে আনা দরকার। সারা বিশ্বের জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশনার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে চাই আমরা।। এই বইমেলা আয়োজন করতে পারলে আমরা সব সব দিক থেকে লাভবান হবে।”
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “ক্লাসের বই পড়তে পড়তে ছেলেমেয়েরা এখন বাইরের বই পড়ার ফুরসত পায় না। আমরা যে মানবিক, উন্নত সমাজ গঠনের কথা বলি, সাংস্কৃতিক বিকাশের পথে রুচিশীল মনন গঠনের কথা বলছি, সেখানে আমাদের বই পড়াকে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে।”
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক এ কে এম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এসেছিলেন জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল মান্নান ইলিয়াস।
আয়োজকরা জানান, রোববার থেকে বৃহস্পতিবার প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। শুক্র ও শনিবার ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে মেলা শুরু হবে, চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।