অনলাইন ডেস্ক : কোচিং না করায় ধামরাই উপজেলার বারবাড়িয়া ভোলানাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ৩২ শিক্ষার্থীকে একযোগে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) প্রদান করা হয়েছে। ওই বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠাতার নির্দেশক্রমে শিক্ষকরা এ ট্রান্সফার সার্টিফিকেট প্রদান করে বলে জানা গেছে।
তবে প্রতিষ্ঠাতা তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতি ও শুক্রবার দু’দিনব্যাপী বিদ্যাপীঠের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ওই বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং-বাণিজ্য নিষেধ করা হলেও ওই বিদ্যাপীঠের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্র্থীদের কোচিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতি মাসে কোচিং ফি ধার্য করা হয়েছে ৬০০ টাকা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, এ কোচিং অবৈধ এবং প্রতি মাসে ৬০০ টাকা দিয়ে কোচিং করা তাদের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার থেকে কোচিংয়ে অংশগ্রহণ না করায় ওই শ্রেণীর ৩২ শিক্ষার্থীকে একযোগে টিসি দেয়া হয়েছে। টিসি দেয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিদ্যাপীঠের সামনে অবস্থান গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বন্ধের দিনেও চলছে তাদের অবস্থান কর্মসূচি।
এ ব্যাপারে সহকারী প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন টিসি দেয়ার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বেলীশ্বর স্কুলের প্রধান শিক্ষক ভর্তির আশ্বাস দেয়ায় আমাদের শিক্ষার্থীরা টিসি চেয়েছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাদের টিসি দেয়া হয়েছে। তবে কোচিংয়ের বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেছেন। প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের ভয় দেখানোর জন্য টিসি দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ওই বিদ্যালয়ে প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা জগদীশ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ৬০০ টাকা কোচিং ফি ধার্য করে দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা ৬০০ টাকা ফি দিয়ে কোচিং করতে রাজি নয়।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল কালাম বলেন, ভোলানাথ স্কুলের ৩২ শিক্ষার্থীকে টিসি দিয়েছে। টিসি দেয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে- এমন খবর ওই এলাকা থেকে আমার কাছে ফোন এসেছিল। কী কারণে শিক্ষার্থীদের টিসি দিয়েছে, সেই ব্যাপারটি আমি খতিয়ে দেখছি।