ডলার সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি। তবে ডলার দিয়ে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ ও কেনাকাটা করলেও ডলারের কারখানা হয়তো দেখেনি অনেকে। অ্যামেরিকার বৃহত্তম নোট তৈরির কারখানা, দ্য ব্যুরো অফ এনগ্রেভিং অ্যান্ড প্রিন্টিং (সংক্ষেপে বিইপি)- এর প্রতিষ্ঠা হয় ১৮৬২ সালে, ওয়াশিংটনে৷
প্রবেশমুখ দেখলে মনে হবে কোনো দুর্গে প্রবেশ করছেন৷ ভীষণ উজ্জ্বল, চুনাপাথরের তৈরি বিশাল বিশাল কলাম রয়েছে সেখানে৷
আজ পাঠকদের জানাতে চেষ্টা করবো অ্যামেরিকার বৃহত্তম নোট তৈরির কারখানা, দ্য ব্যুরো অফ এনগ্রেভিং অ্যান্ড প্রিন্টিং (সংক্ষেপে বিইপি) সম্পর্কে।
ডলারের ঘড়ি : এই স্থানটি পরিদর্শন করতে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ পর্যটক আসেন৷ এখানে বিশাল ঘড়িটি ডলার দিয়ে সাজানো৷
সবুজের মহিমা : ডলারের নোটের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং পুরোনো বৈশিষ্ট্য হলো এই সবুজ রঙ৷ এই রঙের ব্যাপারটা ‘টপ সিক্রেট’ এবং পেটেন্ট করা৷ এই যন্ত্রটি ঘণ্টায় ডলারের ১০ হাজার পাতা তৈরি করে এবং এতে ৯৫ ডেসিবেল শব্দ হয়, যা একটা ড্রিল মেশিনের শব্দের সমান৷
নোট শুকানো : নোট শুকাতে সময় লাগে তিন দিন৷ একটা ভল্টে তা সংরক্ষণ করে রাখা হয়৷ প্রতিদিন এখানে ৫৬ কোটি ডলারের নোট তৈরি হয়৷ প্রতি ডলার উৎপাদনে খরচ পড়ে ৩ দশমিক ৬ সেন্ট৷
চার-চোখের নীতি : সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকায় একটি সাইন দেয়া থাকে, যেটা দেখে বোঝা যায় ঐ এলাকায় একা কারো কাজ করার অনুমতি নেই৷ এখানকার কর্মীদের গড় বেতন বছরে ৯৩ হাজার মার্কিন ডলার৷
চূড়ান্ত নম্বর : ডলার তৈরির সবশেষ পর্যায় হলো, প্রতিটি নোটে সিরিয়াল নম্বর দেয়া৷ এই স্ট্যাম্পিং মেশিনের সাহায্যে (ছবিতে) হাত দিয়ে নম্বর ঠিক করা হয়৷
শিপিংয়ের জন্য প্রস্তুত : অন্য একটি মেশিনের সাহায্যে গণনা, আলাদা করা এবং বান্ডেল করা হয়৷ ১০টি করে বান্ডেল প্লাস্টিক ব্যাগে মোড়ানো হয়৷ একজন কর্মী প্যাকেটগুলো ট্রলিতে করে নিয়ে যায়৷ যতক্ষণ না এগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পৌঁছায় এবং সিরিয়াল নম্বর দেখে প্রকাশ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এগুলোর কোনো মূল্য নেই৷
কঠোর নিরাপত্তা : বিইপি-র নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে ২ হাজার কর্মী৷ প্রিন্টিং মেশিন বন্ধ হয় সেন্সরের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে বা লাল বোতাম টিপে৷