দর্পণ ডেস্ক : খেলার শুরু দেখে বোঝা যায়নি নেপাল শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে বাংলাদেশকে। লাল-সবুজের শুরুর আধিপত্যে যে দুটি গোল পেয়েছে, তাতেই টানা দ্বিতীয় জয়ের ছবি এঁকেছে অনূর্ধ্ব-১৮ মহিলা দল। ভুটানে তারা ২-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েই সেমিফাইনালে পৌঁছেছে। আগামী ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বাংলাদেশের মেয়েরা মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ভুটানের। প্রথম সেমিফাইনালে লড়বে ভারত ও নেপাল।

প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল মিছিলের পর তারা গতকাল নেপালের বিপক্ষে লড়ছে গ্রুপ সেরা হওয়ার জন্য। আগের ম্যাচের তুলনায় নেপাল শক্তিশালী আর এজন্যই গোলাম রব্বানী ছোটন একাদশে ফিরিয়েছেন তারা সেরা অস্ত্রগুলোকে। মারিয়া মান্ডা, শামসুন্নাহার, আনাই মোগিনী ও মনিকা চাকমা ফিরেছেন আর বেঞ্চে চলে গেছেন সানজিদা খাতুন, নিলুফার ইয়াসমীন, রত্না ও মার্জিয়া। তাদের দাপটেই চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে শুরু হয় ম্যাচ। শুরুর খেলায় একচেটিয়া দাপট বাংলাদেশের মেয়েদের। আসলে ব্যক্তিগত স্কিলে তারা অনেক এগিয়ে। স্বপ্নার সে রকম এক ঝলকে ১৬ মিনিটে এগিয়ে যায় তারা। শামসুন্নাহারের চমৎকার এক লং বলটি সিরাত জাহান স্বপ্না আয়ত্তে নেন দুই মার্কারকে পেছনে ফেলে। পাকিস্তানের জালে সাত গোল করায় তার দিকেই প্রতিপক্ষের নজর বেশি। কিন্তু নজরবন্দি করে রাখতে পারেনি। বল ধরে গায়ে লেগে থাকা আরেক ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে আগুয়ান গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল পৌঁছে দেন নেপালের জালে। ৩২ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের বিল্ড-আপে মূল ভূমিকা গোলরক্ষক রূপনা চাকমার। অ্যাটাকিং থার্ডে তার লং গোল কিকটি ধরেই কৃষ্ণা ডান দিক দিয়ে ঢুকে দারুণ ফিনিশ করে লাল-সুবজকে এগিয়ে নেন ২-০ গোলে। ৪২ মিনিটে ব্যবধান বড় হতে পারত। কৃষ্ণাকে ফাউল করায় পাওয়া পেনাল্টি মিস করে শামসুন্নাহার নষ্ট করেন সেই সুযোগটি।

বিরতির পর কিন্তু সেই দাপট আর দেখা যায়নি বাংলাদেশের। লিড বড় করার চেয়ে ধরে রাখার দিকেই মনোযোগ বেশি। উল্টো নেপাল আক্রমণে ওঠে তাদের কয়েকবার বিপদেও ফেলে। সুবাদে বেড়েছে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং শেষ পর্যন্ত সুন্দর এক গোলও করেছে। অতিরিক্ত সময়ে বক্সের বাইরে থেকে রেশমি কুমারীর ডান পায়ের চমৎকার ভলিটি গোলরক্ষক রূপনাকে ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশের জালে ঢোকে। তাতে অবশ্য বাংলাদেশের চাওয়া ভেস্তে যায়নি। দুই ম্যাচ জিতে লাল-সবুজের দল গ্রুপ সেরা হয়েই শক্তিশালী ভারতকে এড়িয়েছে সেমিফাইনালে।