দর্পণ ডেস্ক : বাংলাদেশ ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে। ‘দলের জয়ই বড়, ব্যক্তিগত সাফল্য নিয়ে চিন্তা করি না।’ দল নিয়ে কথা বলতে গেলে অধিকাংশ খেলোয়াড়ই বলেন এমন। তাই যদি হয় তবে ৯৯ রানে আউট হওয়ায় মুশফিকের আফসোস থাকার কথা নয়। কারণ তার ৯৯ রানের সুবাদেই লড়াইয়ের ভিত পায় বাংলাদেশ। সেই ভিতে চড়েই পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়েছে মাশরাফিরা। ২০১৬ সালের মতো পাকিস্তানকে হারিয়ে আবারও এশিয়া কাপের ফাইনালে টাইগাররা।
সেমিফাইনালে রূপ নেয়া এই জয়ে মুশফিক-মিঠুনের যেমন দারুণ অবদান। তেমনি বল হাতে দুর্দান্ত করেছেন মুস্তাফিজুর। অধিনায়ক মাশরাফি কোন উইকেট পাননি। তবে প্রায় আট ফুট লাফিয়ে তিনি শোয়েব মালিকের যে ক্যাচ ধরেছেন তা বাংলাদেশি দর্শকদের চোখে দীর্ঘদিন লেগে থাকবে। ইনজুরি নিয়ে খেলা মাশরাফির দলের প্রতি নিবেদন প্রকাশ পেয়েছে আরও একবার।
বুধবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। প্রথমে ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন মুশফিকুর রহিম এবং মোহাম্মদ মিঠুন। দুজনে গড়েন ১৪৪ রানের দুর্দান্ত জুটি। এরপর মিঠুন ফিরে যান ব্যক্তিগত ৬০ রানে। আর মুশফিক বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৯৯ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। শেষ পর্যন্ত ৭ বল বাকি থাকতে ২৩৯ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
জবাবে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানকে শুরু থেকেই অস্বস্তিতে রাখে বাংলাদেশ। টাইগারদের দেয়া ২৪০ রানের লক্ষ্য যথেষ্ট কিনা তা নিয়ে ছিল সন্দেহ। কিন্তু শুরুতেই সব সংশয় মুছে দেয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের ১০০ রানের মধ্যে ৫ উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ-মেহেদিরা। এরপর যা একটু সংশয় তৈরি হয়েছিল ইমাম উল এবং আসিফ আলীকে নিয়ে। কিন্তু দুজনকেই রান তাড়ার চাপে ফেলে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মাহমুদুল্লাহ এবং মেহেদি মিরাজ।
পাকিস্তানের ১৬৭ রানে সপ্তম উইকেট হিসেব আসিফ আলী এবং পরে ১৮১ রানে ইমাম উল ফিরে গেলে ম্যাচ হাতের মুঠোয় চলে আসে টাইগারদের। পাকিস্তনের ইনিংস থামে ২০২ রানে। বাংলাদেশ জয় পায় ৩৭ রানের। তবে তাদের অলআউট করতে না পারায় মনে একটু খেদ হয়তো থেকে গেছে।
খেদ যেমন মুশফিকের সেঞ্চুরি না পাওয়া নিয়ে। কিংবা মুস্তাফিজের ৫ উইকেট না পাওয়া নিয়ে। বাংলাদেশের হয়ে এ ম্যাচে ১০ ওভার বল করে ৪৩ রানে ৪ উইকেট নেন মুস্তাফিজ। এছাড়া মেহেদি মিরাজ পান ২ উইকেট। পাকিস্তানের হয়ে এ ম্যাচে ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন জুনায়েদ খান। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান মুশফিকুর রহিম।
আগামীকাল ফাইনালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে ভারতের।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.