অনলাইন ডেস্ক:: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের স্ত্রীকে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন ও মেয়েকে কুপিয়ে জখমের
অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত হালিদা বেগম (৪৫) এবং তার মেয়ে রহিমা বেগমকে (২২) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্টি হাসপাতালে ভর্তি করাহয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার হালিদা বেগম রাঙ্গাবালী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ
দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়ার হাওলা ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বশির মোল্লার পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুর রহিম হাওলাদারের পরিবারের জমি সংক্রান্ত বিরোধ
চলছিল। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। আব্দুর রহিম হাওলাদার বলেন, ‘আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার সকালে বিরোধীয় জমির গাছ থেকে যুবলীগ নেতা বশির মোল্লা নারিকেল পাড়তে গেলে
আমার স্ত্রী হালিদা বেগম বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হালিদাকে টেনে হিঁচড়ে বশির তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়।
একপর্যায় বশির ও তার ভাই আলম মোল্লা তাদের পরিবারের মহিলাদের নিয়ে হালিদাকে গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে। এ খবর শুনে মেয়ে রহিমা বেগমসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। এসময় মা’কে রক্ষা করতে গিয়ে রহিমা জখম হয়। পরে স্থানীয়রা ছুঁটে এসে আমাদেরকে রক্ষা করে।’
এ ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা বশির মোল্লা বলেন, ‘আমাদের জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় আদালতে মামলা আছে। স্থানীয় লোকজন কয়েকবার শালিসও করছে। আমি কয়টা নারিকেল বস্তায় করে নিয়ে বাড়িতে মা’কে দেই। এটা দেখে হালিদা আমার বউ আর ভাবীর সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে। এছাড়া রহিমাকে কেউ কুপিয়ে জখম করেনি।’
এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, ‘মারধরের শিকার হালিদা বেগম শুক্রবার একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’