দর্পণ ডেস্ক :
বরগুনার আমতলীতে অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মেহেদী হাসান লিটনসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সকালে আমতলীর গোছখালী গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মেহেদী বাগেরহাটের মো. আব্দুল জলিলের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার শ্রমিক মেহেদী হাসানের (২৫) মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৩ সেপ্টেম্বর সকালে মেহেদী হাসান তার কয়েকজন বন্ধুর সহায়তায় গোছখালী গ্রামের জব্বার পঞ্চায়েতের বাড়ির সামনে থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে। পরে তাকে কলাপাড়ার একটি ভাড়া বাসায় ১১ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে। মেহেদী হাসান গত রোববার সকালে ওই ছাত্রীকে তার বাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য উত্তর গোছখালী গ্রামে নিয়ে আসে। এ সময় খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশের একটি দল ধর্ষক মেহেদী হাসান ও তার সহযোগী মুন্নাকে আটক করে। এ ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে আমতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে আমতলী থানার ওসি আলাউদ্দিন মিলন জানান, স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এক সহযোগীসহ মামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।