দর্পণ ডেস্ক :
বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সাফ ফুটবলে বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় নেপাল এবং মালদ্বীপ। বাংলাদেশকে বিদায় করে সেমিতে ওঠে নেপাল। গ্রুপ পর্বের ম্যাচের ফলাফল বিশ্নেষণে বেশ এগিয়ে ছিল নেপাল। মালদ্বীপকে হারিয়ে প্রথমবার সাফের ফাইনালে উঠতে আত্মবিশ্বাসী ছিল তারা। কিন্তু ময়দানি লড়াইয়ে মালদ্বীপ দেখিয়ে দিয়েছে তারাই এগিয়ে।
মালদ্বীপ কোচ পিটার সের্গাটের চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়ে গিয়েছিল। মালদ্বীপের সংবাদ মাধ্যমে সাফ ফুটবলই তার শেষ বলে লেখা ছাপাও হয়েছে। এমনকি নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের আগেও তাকে সংবাদ সম্মেলনে দেখা যাবে না বলে লিখে দেয় কেউ কেউ।
সের্গাট শুধু বলেছিলেন, যা হওয়ার সাফের পর হবে। এখনও তো দলকে সমর্থন করুন। নেপালের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতে সাফের ফাইনালে চলে গেছে মালদ্বীপ। কোচ অন্তত বুঝিয়ে দিয়েছেন, এখনই শেষ দেখে নেয়ার কিছু নেই।
নেপালের জন্য অবশ্য প্রেরণা ছিল ঢাকার মাঠ। ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের শিরোপা জিতেছিল তারা। আর মালদ্বীপের বিপক্ষে সর্বশেষ দুটি সেমিফাইনালেও জয়ের হাসি হাসে হিমালয়ের দেশটি। ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত এসএ গেমসের সেমিফাইনালে নেপাল জিতেছিল ৪-৩ গোলে। দুই বছর আগে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে দ্বীপদেশকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বিমল গাত্রিরা।
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের দুটিতে জেতে নেপাল। পাকিস্তানের কাছে শেষ মুহূর্তে ভাগ্যের কাছে হেরে যায় তারা। দাপট দেখিয়ে খেলে স্বাগতিক বাংলাদেশকে বিদায় করে শেষ চারে ওঠে। তার আগের ম্যাচে ভুটানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বিমল গাত্রিরা। বিপরীতে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে টসভাগ্যে শ্রীলংকাকে বিদায় করে সেমিতে ওঠে মালদ্বীপ। পরিসংখ্যান ও র‌্যাংকিংয়ে মালদ্বীপ অবশ্য এগিয়ে ছিল। তারই প্রতিফলন তারা দেখোলো মাঠে।
ম্যাচের শুরুতে ৯ মিনিটের মাথায় আকরাম আবদুল ঘানি গোল করে দলকে প্রথম লিড এনে দেন। এরপর শেষের দিকে আর দুই গোল করে ৩-০ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করে মালদ্বীপ।