দর্পণ ডেস্ক :
জন্মনিয়ন্ত্রণ না থাকলে বিশ্বের জনসংখ্যা এত বেড়ে যেত যে, বিদ্যমান উৎপাদিত খাদ্য দিয়ে এত মানুষের চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব ছিল। জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী বিজ্ঞানের একটি অন্যতম আশির্বাদ। তবে এই জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়েই বিরূপ মন্তব্য করলেন তাঞ্জানিয়ার প্রেসিডেন্ট জন ম্যাগুফুলি। এমনকি তিনি জন্মনিয়ন্ত্রণ গ্রহণকারী নারীরা আলসে বলেও মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি তাঞ্জানিয়ার প্রেসিডেন্ট এক বক্তব্যে দেশটির নারীদের সরাসরি বলেন জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহার না করতে।
রোববার এক বক্তব্যে তাঞ্জানিয়ার প্র্রেসিডেন্ট বলেন, ‘নারীরা এখন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বাদ দিতে পারেন।’
তিনি বলেন, যারা পরিবার-পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তারা অলস… তারা তাদের সন্তান জন্ম দিতে ভয় পান খাবার জোগাড় করার চিন্তায়। তারা বড় পরিবারের খাদ্য জোগান দিতে কঠোর পরিশ্রম করতে চান না। আর এ কারণেই একটি বা দুটি সন্তান গ্রহণ করেন।
ইতোমধ্যেই বাড়তি জনসংখ্যার চাপে অতিষ্ট বিশ্ব।
তারওপর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে তাঞ্জানিয়ার প্রেসিডেন্ট নিষেধ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
পূর্ব আফ্রিকার দেশ তাঞ্জানিয়ার জনসংখ্যাও কম নয়। আফ্রিকা থেকে ইউরোপে প্রায় প্রতিদিনই অবৈধভাবে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে অসংখ্য মানুষ। পানিতে ডুবে ও নানাভাবে দুর্ঘটনায় তাদের বিপুল অংশ মারা যাচ্ছে।