অনলাইন ডেস্ক : ব্রণ এমন একটি সমস্যা যা আপনাকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে অনেকেই নানা প্রতিষেধক ব্যবহার করেন্ ।এতে হয়তো সাময়িক মুক্তি মেলে কিন্তু পুরোপুরি কখনোই সারে না। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে এ ধরনের সমস্যা বেশি হয়। তবে আধুনিক খাদ্যাভ্যাস, পরিবর্তিত জীবনযাপনের কারণে এখন প্রায় সব ধরনের ত্বকেই এটি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে,ব্রণ যদি প্রাথমিক অবস্থায় থাকে, তা হলে খাবারদাবারের মাধ্যমেই তা সারিয়ে তোলা যায়। কিন্তু তা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন,যদি কোনও কারণে ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে যায় তখন সেবাম নিঃসরণে বাধা পায়। সেই সময় সেবাম ভিতরে জমে ফুলে ওঠে, আর ব্রণের জন্ম হয়। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো সাধারণভাবে ব্রণ সারাতে উপকারী।
অলিভ অয়েল: ত্বকের উজ্জ্বলতা আনার সঙ্গে সঙ্গে অলিভ অয়েল ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষগুলোকে নরম করে।নিয়মিত এটি ব্যবহারে ত্বক ব্রণের হাত থেকে রক্ষা পায়।
লেবুর রস: রক্তের অতিরিক্ত টক্সিন বের করে শরীরকে পরিষ্কার রাখার কাজ করে লেবু। এর সাইট্রিক অ্যাসিড লিভারকে সক্রিয় রাখে। হজম শক্তি বাড়ায়। নিয়মিত এটি খেলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমে ।
তরমুজ: গ্রীষ্মের ফল তরমুজ ব্রণ সারাতে বেশ কার্যকরী। এই ফল শুধু শরীরে পানির চাহিদাই মেটায় না, এতে থাকা ভিটামিন এ, বি ও সি ত্বককে পরিষ্কার করে, উজ্জ্বলতা বাড়ায়। শরীরের অভ্যন্তরীণ তেল শোধন করে তরমুজ । এজন্য এটি ব্রণের দাগ সারাতেও উপকারী। ।
কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার: দুধ,দই,মাখন, যাই খান না কেন তা যেন কম ফ্যাটযুক্ত হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এতে শরীরে ব্রণের আশঙ্কা কমে যাবে।
পানি : ব্রণ কমানোর অন্যতম উপায় হলো প্রচুর পরিমাণে পানি পান। এটি শরীর থেকে সব টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। ত্বক সজীবও রাখে। তাই ত্বক সুস্থ রাখতে দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করা উচিত।
টক দই: এটিও শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।মৃতকোষ সরিয়ে ত্বকের কোষে পানি সরবরাহ করে ত্বককে সুস্থ ও তাজা রাখতে সাহায্য করে টক দই।