সাইফুল্লাহ নাসির, বরগুনা প্রতিনিধিঃ রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গতকাল সোমবার ভোররাতে বাসচালক মাসুম বিল্লাহকে বরগুনা থেকে এবং বাকি চারজনকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১-এর একাধিক দল।গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে তিন চালক ও দুইজন চালকের সহকারী রয়েছে।বাসের ঘাতক চালকের মাসুম বিল্লাহ র‌্যাবের কাছে নির্মম ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়,তিনটি বাসই জাবালে নূর পরিবহনের।প্রথমে একটি বাস কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়ায়।তখন ওই বাসটিতে উঠতে যাচ্ছিল শিক্ষার্থীসহ অন্য যাত্রীরা।এমন সময় বেপরোয়া গতিতে পেছন থেকে একই পরিবহনের আরও দুটি বাস আসতে থাকে।বাস দু’টির প্রতিযোগিতার কারণে একটি বাস জায়গা না পেয়ে ফুটপাতের ওপর উঠে পড়ে।একপর্যায়ে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চাপা দেয় বাসটি।

র‌্যাব জানায়,শিক্ষার্থীদের চাপা দেওয়া বাসটির নাম্বার ঢাকা মেট্রো ব-১১৯২৯৭।বাসের চালক মোঃ মাসুম বিল্লাহকে (৩০) বরগুনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।পরে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বাসের সহকারী এনায়েত (৩৮),ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৬৫৭ বাসের চালক জুবায়ের (৩৬) ও ঢাকা মেট্রো ব-১১৭৫৮০ বাসের চালক সোহাগ (৩৫) ও তার সহকারী রিপনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাবের অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বলেন,প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে বাসের চালক মাসুম বিল্লাহ জানিয়েছে,দু’টি বাসের প্রতিযোগিতা করছিলেন তারা।অপর বাসটি সড়কের একপাশে চলে আসতে থাকে।তখন ওই বাসটির কারণে তিনি পর্যাপ্ত জায়গা পাচ্ছিলেন না।একপর্যায়ে সড়কে জায়গা না পেয়ে মাসুম তার বাসটি ফুটপাতে উঠিয়ে দেন।তিনি আরও বলেন,শিক্ষার্থীরা বাসের নিচে চাপা পড়েছে দেখে ভয় পেয়ে যায় এই চালক।পরে দ্রুত বাস থেকে নেমে পালিয়ে বরগুনা চলে যায় সে।

গত রোববার দুপুরের ওই দুর্ঘটনায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। নিহতদের মধ্যে দিয়া খান মিম শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী এবং আবদুল করিম রাজীব (১৭) দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ।মর্মান্তিক এ ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ১৩ শিক্ষার্থী।