দিবাকর সরকার, কলাপাড়া প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কলাপাট্টি আবাসনের খেয়া ঘাটের যাত্রী ছাউনির খুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যাত্রী ছাউনি খুলে নেয়ার পর প্রতিদিন বর্ষার সময় স্কুল-কলেজ গামী ছাত্র ছাত্রীরা বৃষ্টিতে ভিজে অথবা রোদে পুড়ে স্কুলে যেতে হয় বলে অবিভাবক ও শিÿার্থীরা জানায়। এছাড়া সাধারণ যাত্রীসহ রোগীদের পড়তে হয় চরম ভোন্তিতে। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বর ফজুল ফকিরের বিরুদ্ধে মেরামতের জন্য ঠিক করে দিবে বলে যাত্রী ছাউনি নেওয়ার পর ঠিক করে না দেয়ায় এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। এলাকাবাসী জানায় ২০১২ সালের শেষের দিকে যাত্রী ছাউনি ঝড়ে হেলে পড়লে সাবেক মেম্বর ফজলু ফকির মেরামতের কথা বলে খুলে নিয়ে যায়। কিন্তু আর ঠিক করে দেয়নি। নীলগঞ্জ আবাসন এলাকার বাসীন্দা ও খেয়ার যাত্রী মমতাজ বেগম জানান, সাবেক মেম্বর যাত্রী ছাউনি নিয়ে গেছে এমনকি বর্তমান মেম্বরও ঠিক করেছে না। ছেলে মেয়েদের নিয়ে বর্ষায় চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে। খেপুপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর শিÿার্থী জান্নাত জানায়, চলতি বর্ষায় স্কুলে যাবার সময় খেয়া না পেলে যাত্রী ছাউনি না থাকায় ভিজে যেতে হয়। মো. ফেরদাউস মৃধা জানান, যাত্রী ছাউনি বন্যায় ভেঙ্গে যাবার পর সাবেক ইউপি মেম্বর ঠিক করে দিবে বলে নিয়ে যাবার পর আর ঠিক করে দেয়নি। নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বর ফজলু ফকির জানান, যাত্রী ছাউনির চাল ঝড়ে উড়িয়ে নেয়ার পর আমি এটা নীলগঞ্জন ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রেখেছি এরপর আমার কাছে আর কোন খবর নাই। কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব তালুকদার বলেন, অভিযোগের কথা আমি প্রথম শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। আগামি মিটিং এর সময় যাত্রী ছাউনির বিষয়টি উত্থাপন করে শিÿার্থী ও যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হবে।

News Editor : Ganash Chanro Howlader. Office: 38-42/2 Distillery Road, 1st floor, Gandaria, Dhaka-1204.