ধামরাইয়ে রাস্তা নির্মানে বাঁধা,চরম ভোগান্তিতে এলাকার বাসিন্দারা

ধামরাইয়ে রাস্তা নির্মানে বাঁধা,চরম ভোগান্তিতে এলাকার বাসিন্দারা

মোঃ সাইফুল ইসলাম,ধামরাই প্রতিনিধি:
ঢাকার ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের খরারচর গ্রামে চলাচলের একটি রাস্তা নির্মানে বাঁধা দেয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এ অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার শাহিন হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এমনকি জমি দখলের অভিযোগ এনে আদালতেও মামলা দায়ের করেছেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, খরারচর গ্রাম এবং বহুতকুল গ্রামের সংযোগ একটি রাস্তা। রাস্তাটি নির্মান হলে বহুতকুল গ্রামের লোকজন খুব সহজে খরারচর- সাভারের প্রধান সড়কে উঠতে পারবে সেই লক্ষ্যে রোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব তহবিলে রাস্তাটি নির্মাণ করতে উদ্যোগ নেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কাজিম উদ্দিন খান। ইতিমধ্যে রাস্তা নির্মাণের জন্য মাটি ফেলার কাজ শুরু করে। কিন্তু নিজের জায়গা দাবী করে নির্মাণ কাজে বাঁধা দেন শাহিন হোসেন। এতে রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে গেলে চরম ভোগান্তিতে পড়বে ওই এলাকার বাসিন্দারা।

রোয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কাজিম উদ্দিন খান বলেন, বর্ষা মৌসুমে চলাচল এবং সাভারের প্রধান সড়কে ওঠার সময় ভোগান্তি হওয়ায় ৪নং ওয়ার্ডের খরারচর সাইদুরের দোকানের সামনে পাকা রাস্তা হতে বহুতকুল পাকা মসজিদ হয়ে স্কুল সংলগ্ন রাস্তা ভায়া দেলুয়ারের জমির উত্তর পার্শ্বে কাঁচা রাস্তায় সংলগ্ন সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য জায়গা নির্ধারন করা হয়েছে যার মৌজা খরারচর খতিয়ান নং সি.এস-২০৬, এস.এ-২৬০, আরএস- ২৩৭, খারিজা নং ১৩৪৮ দাগ নং-সি.এস ও এস.এ-২৩১, আর.এস ২৪২, জমির পরিমান ৩৭ শতাংশের কাতে ১৮.২৫ শতাংশ ইহার কাতে ১২.১০ শতাংশ । যাহার চৌহদ্যি উত্তরে-নিশাকুর রহমান হান্নান, দক্ষিনেখরারচর মৌজা ৯৮ নং, আরএস নং-১২২, দাগ-৮৩, খতিয়ান নং সাবেক ৮২ একটি রাস্তা নির্মানের উদ্যোগ নেই। ইতিমধ্যে মাটি ফেলার কাজ ও শুরু করি।

কিন্তু শাহীন হোসেন নিজের জায়গা দাবী করে রাস্তাটির কাজ করতে দিচ্ছে না। এমনকি আদালতেও একটি ১৪৫ মামলা দায়ের করেছেন। এতে চরম বিপাকে পড়তে হচ্ছে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ দ্রুত যাতে সড়কটি নির্মাণ এবং ওই এলাকার মানুষের ভোগান্তি কমানোর জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন তিনি।

ধামরাই উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি নিশাতুর রহমান হান্নান ও বাহাদুর মিয়া বলেন, রাস্তাটি আমাদের জমির উপর দিয়ে করা হচ্ছে। রাস্তাটি হলে এখানকার মানুষের উপকার হবে। কিন্তু শাহীন বেআইনি ভাবে মালিকানা দাবি করে ১৪৫ ধারা জারি করে রাস্তাটির কাজ বন্ধ করে দেন। আমরা প্রশাসনের নিকট দাবী জানাই, দ্রুত বিষয়টি সুরাহা করে রাস্তা নির্মাণের সকল বাঁধা দূর করবে।

এ বিষয়ে শাহীন হোসেন বলেন, আমি ওই খানে জমি পাব। আমার জমি আমাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। তারপর পাশের জমির মালিক ৩ হাত দিলে আমিও ৩ হাত দিব একা আমি কেন রাস্তা করার জন্য জমি দিব।

রাস্তা নির্মানে বাঁধার বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার ভূমি ধামরাই ফারজানা আক্তার বলেন, সরকারি রাস্তা বাঁধার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে আমার কাছে অভিযোগ আসলে আমি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এমনকি ওই জমির উপর ১৪৫ এর বিষয়িও তিনি জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন।