দর্পণ ডেস্ক : মার্কিন মুলুকে এটাই শাকিব খানের প্রথম ভ্রমণ। আর সেখানেই পেলেন মার্কিন নায়িকা। অনেকেরই জানা হয়ে গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে বসেই ছবি প্রযোজনা করছেন ঢাকাই ছবির শীর্ষ এ তারকা, নাম ‘রাজকুমার’। আর সে সিনেমারই নায়িকা ঘোষণা হলো ২৮ মার্চ নিউ ইয়র্কের একটি কনভেনশন সেন্টারে। মহরত অনুষ্ঠানে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় নবাগতা কোর্টনি কফিকে। সেই সঙ্গে উন্মোচন করা হয় ছবিটির প্রথম মোশন পোস্টার।
শাকিব জানান, কোর্টনি কফির জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রেই। টানা কয়েকটি ধাপ পার করে ছবিটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তিনি। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এই নায়কের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মস। সহযোগী প্রযোজক হিসেবে আছেন কাজী রিটন ও জাকারিয়া মাসুদ।
সিনেমার অন্যতম প্রযোজক কাজী রিটন বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান যে আমরা যে ভাষায় কথা বলি সে ভাষায় পৃথিবী জুড়ে প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ কথা বলেন। বাংলা এখন পৃথিবীর পঞ্চম বৃহৎ চর্চিত ভাষা। সারা পৃথিবী জুড়েই রয়েছে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ। ঢাকা থেকে নিউ ইয়র্ক, কলকাতা, ক্যালিফোর্নিয়া, সিডনি, দুবাই, কুয়ালামাপুর সর্বত্রই বাঙালিদের বসবাস। এই অগুনতি বাংলা ভাষার মানুষের বিনোদনের চাহিদা প্রবল বলেই আমরা নির্মাণ করতে যাচ্ছি আমাদের নতুন ফিল্ম রাজকুমার। সাকিব খান, কিং খান প্রতিদিনই চেষ্টা করেন যেন আমরা বাংলা সিনেমার চেহারা বদলে দিতে। সেই লক্ষ্যেই আমি বা আমরা সম্পৃক্ত হয়েছি রাজকুমারের সাথে, এই ছবিটির সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত এবং গর্বিত।
তামিল, তেলেগু, মালায়লাম ভাষার মানুষ বাংলা ভাষার ভাষার মানুষ থেকে কম। আমাদের দর্শক বেশী। আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো। আর তাই এই ছবিটি আমাদের নতুন প্রয়াস। আমি সাকিব ভাইকে ধন্যবাদ জানাই ভালো সিনেমার প্রতি তার তীব্র আকাঙ্খা আমার ভেতরে সঞ্চারিত করার জন্যে।
আমরা বাংলাদেশ আর আমেরিকা দুই দেশ মিলে এমন একটি সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছি যা নতুন প্রজন্মকে বাংলা সিনেমার প্রতি মনোযোগী করে তুলবে। আসুন আমরা সকলে মিলে বাংলা সিনেমাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এর আগে কাজী রিটন হৃদয়ের কথা ছবির সহযোগী প্রযোজক এবং ফেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন। ছবিটি পরিচালনা করছেন হিমেল আশরাফ। তিনি বলেন, ‘কোর্টনি কফির সঙ্গে আগে কোনও পরিচয় ছিল না। নায়িকা খোঁজার দায়িত্ব আমরা পেশাদার একটি এজেন্সিকে দিয়েছিলাম। তারা ৮৭ জনের একটা তালিকা আমাদের প্রথমে দেয়। এরপর কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে সেরা তিন জন নির্বাচিত হয়। শেষ পর্যন্ত কোর্টনি কফিই আমাদের সঙ্গে আছেন।’
কোর্টনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেমা বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন। যুক্ত আছেন থিয়েটারে। এছাড়া একটি শর্ট ফিল্মে তিনি অভিনয় করেছেন। এদিকে, ছবিটির বিষয়ে মহরত অনুষ্ঠানে শাকিব খান বলেন, ‘এখন দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশে হল সংখ্যা কমে গেছে। কিন্তু বাংলাদেশের বাইরে যদি আমরা আরও দেড়শ’ হল যুক্ত করি তাহলে বিষয়টি কী দাঁড়াবে? আমরা সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী এগুচ্ছি। সেদিন আর বেশি দূরে নয় যে, দেশের বাইরে সিনেমা মুক্তি দিয়ে আমরা লস পুষিয়ে নিতে পারবো।’ জানা যায়, আগামী জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে ছবিটির শুটিং শুরু হবে। নিউ ইয়র্ক, মায়ামি বিচ ছাড়াও আমেরিকার বেশ কয়েকটি শহরে এর কাজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।