লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের লালপুরে ত্রিভুজ প্রেমের পরিণতিতে জুয়েলকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো লালপুর উপজেলার দিলালপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ২য় স্ত্রী সেলিনা খাতুন ২৪ একই গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে লিটন ২৫ এবং সেলিনার সৎ ছেলে মেহেদী হাসান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত ৪ মার্চ সকালে দিলালপুর গ্রামের জুয়েলের বাড়ির পিছনে একটি মাঠে জুয়েলকে পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জুয়েলের বাবা দিলালপুর গ্রামের সাকিম প্রামানিক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার জানান, সেলিনা খাতুন এর সাথে জুয়েল হোসেনের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।। অপরদিকে লিটনের আপন বড় ভাই সুমন জুয়েলের চাচি লিখনের মায়ের ঘরে ঢুকেলে সুমনকে জুয়েলের চাচি আটক করলে গ্রামীণ সালিশে সুমনের ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এতে লিটন প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সেলিনা খাতুনের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে সেলিনা খাতুন, লিটন এবং সেলিনার সৎ ছেলে মেহেদী হাসান পরস্পর যোগসাজশে জুয়েলকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা তৈরি করে। পরিকল্পনা মোতাবেক সেলিনা জুয়েলকে ডেকে নিয়ে পায়েশের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয়। এরপর জুয়েল নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে পার্শ্ববর্তী মাঠে নিয়ে গিয়ে সেলিনা, লিটন ও মেহেদী হাসান ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে জুয়েলকে হত্যা করে।
এসপি জানান, গতকাল পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে সেলিনা খাতুনেকে এবং লিটনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মেহেদীকে হাসান গ্রেফতার করা হয় এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র চাকু ও মোটরসাইকেলের ডিস্ক দিয়ে তৈরি করা কুড়াল ও মোবাইল সিম উদ্ধার করে। পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গ্রেফতারকৃতদের ১৬৪ ধরায় স্বীকারোক্তির জন্য আদালতে প্রেরণ করা হবে।