দর্পণ ডেস্ক : বৃহস্পতিবার পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে অস্ট্রেলিয়া। হতাশার সেই হারের দুঃখ সঙ্গী করে বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে হচ্ছে পাকিস্তানকে। তিন টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্ট খেলতে শনিবার সকালে ঢাকায় পা রাখে মোহাম্মদ রিজওয়ান-শাহীন আফ্রিদিরা। দুবাই থেকে ঢাকায় আসছে না অধিনায়ক বাবর আজম ও শোয়েব মালিক। মঙ্গলবার দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বাবর ও মালিক। ফাইনালে উঠতে না পারলেও আসরে দারুণ খেলেছে পাকিস্তান। সেই আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশ সিরিজে কাজে লাগাতে চান বাবর। তিনি বলেন, আমরা যেভাবে এই টুর্নামেন্টে খেলেছি, একতাবদ্ধ হয়ে থেকেছি, অধিনায়ক হিসেবে আমি সন্তুষ্ট। আমরা ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সেটা কাজে লাগাতে চাই। আমরা টুর্নামেন্টে ভালো খেলেছি। এখান থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা এভাবেই খেলে যেতে চাই। এখন আমাদের সামনে রয়েছে বাংলাদেশ সিরিজ। ২০১৫ সালের পর প্রথমবার বাংলাদেশ সফরে এসেছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ স্কোয়াডের প্রায় সবাই রয়েছেন বাংলাদেশ সফরের বাংলাদেশ দলে। নেই কেবল মোহাম্মদ হাফিজ। বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডের সঙ্গে রিজার্ভ হিসেবে থাকা ব্যাটসম্যান খুশদিল শাহ, পেসার শাহনাওয়াজ দাহানি ও লেগ স্পিনার উসমান কাদিরকে রাখা হয়েছে বাংলাদেশ সফরের স্কোয়াডে। বাইরে থেকে যুক্ত করা হয়েছে ইফতিখার আহমেদকে। আগামী শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শুরু তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পরের দুই ম্যাচ ২০ ও ২২ নভেম্বর। এরপর চট্টগ্রাম ও ঢাকায় হবে দুটি টেস্ট।

বাংলাদেশ সফরে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড:
বাবর আজম (অধিনায়ক), শাদাব খান (সহ-অধিনায়ক), আসিফ আলি, ফাখর জামান, হায়দার আলি, হারিস রউফ, হাসান আলি, ইফতিখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, খুশদিল শাহ, মোহাম্মদ নওয়াজ, মোহাম্মদ রিজওয়ান, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, সরফরাজ আহমেদ, শাহীন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, শাহনাওয়াজ দাহানি ও উসমান কাদির।