প্রতিকী ছবি

গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী সংবাদদাতা: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ওএমএস কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে ডিলারদের আয়োজনে ভূরিভোজ করলেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো: লিয়াকত আলী।
বুধবার দুপুরে করোনা বিধি নিষেধের মধ্যে কুয়াকাটা মহাসড়কের নাচনাপাড়া
এলাকার চায়না গার্ডেন চাইনিজ রেস্তোরায় দুপুরের লাঞ্চে তিনি এ ভূরিভোজ
করেন। এসময় তার সাথে ছিলেন কলাপাড়া খাদ্য কর্মকর্তা ধ্রুব মন্ডল, খাদ্য
পরিদর্শক মোসা: আরিফা সুলতানা, জেলা অফিসের খাদ্য পরিদর্শক মোসা: শারমিন
জাহান সহ আরও কয়েকজন।

এর আগে করোনা বিধিনিষেধে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সরকার
নির্ধারিত ৩০ টাকা মূল্যের চাল, ১৮ টাকা মূল্যের আটা দুস্থদের মাঝে
নামমাত্র বিক্রী করে সিংহভাগ কালোবাজারে বিক্রীর অভিযোগ ওঠে ডিলারদের
বিরুদ্ধে, যা গনমাধ্যমে প্রকাশ পায়। এরপর বুধবার জেলা খাদ্য কর্মকর্তা
লিয়াকত আলী’র নেতৃত্বে একটি টিম ওএমএস সেলস্ কার্যক্রম পরিদর্শনে আসে।
কুয়াকাটায় ওএমএস কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে দুপুরে তারা কলাপাড়া পৌরশহরের
চায়না গার্ডেন চাইনিজ রেস্তোরায় ডিলারদের আয়োজনে ভূরিভোজ করেন। ডিলারদের
পক্ষে মামুন হাওলাদার রেস্তোরার বিল পরিশোধ করেন। যদিও তাদের ৫ জনের জন্য
শহরের রফিক’র খাবার হোটেলেও অপর এক ওএমএস ডিলারের সৌজন্যে লাঞ্চের অর্ডার
ছিল। এমনটি বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওএমএস ডিলারদের একটি সূত্র।

এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ধ্রুব মন্ডলের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে
যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো: লিয়াকত আলী বলেন, ’কুয়াকাটায় ওএমএস কার্যক্রম
পরিদর্শন শেষে আমি পটুয়াখালী চলে এসেছি। আমি কলাপাড়ায় লাঞ্চ করিনি।’