• গোফরান পলাশ, পটুয়াখালী সংবাদদাতা: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা’র
    জমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য সরকারের গৃহীত দেড়শ’ কোটি টাকার
    পুনর্বাসন প্রকল্পের ড্রেন, কালভার্ট, গাইডওয়াল, ঘর বর্ষায় ধ্বসে পড়েছে।
    নিম্নমানের উপকরন ব্যবহার, যথাযথ তদারকি ও স্বচ্ছতার অভাবে প্রকল্পের
    নির্মান কাজ সম্পন্ন হওয়ায় মঙ্গলবার দিনভর প্রবল বর্ষনে উপজেলার লালুয়া
    ইউনিয়নের মহল্লাপাড়া গ্রামে ৬৪ একর জমির উপর নির্মিত প্রকল্পটিতে এখন
    ধ্বংসে পড়ার শংকা দেখা দিয়েছে। এমনটাই বলছেন উপকারভোগী, স্থানীয় অধিবাসী
    সহ লালুয়া ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা। তবে প্রবল বর্ষনে ড্রেন, কালভার্ট,
    গাইডওয়াল, ঘর ধ্বসে পড়ার পর পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মঙ্গলবার
    দিনভর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড’র  শ্রমিকরা প্রকল্প
    এলাকায় কাজ করে। এ নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কিংবা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট
    কারো কাছ থেকেই তথ্য সহায়তা পাওয়া যায়নি।
  • প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার
  • লালুয়া ইউনিয়নের মহল্লাপাড়া গ্রামে ৬৪ একর জমির উপর নির্মিত পুনর্বাসন
    প্রকল্পের ড্রেন, কালভার্ট, গাইডওয়াল, ঘর বর্ষায় ধ্বসে পড়ে। এখবর ছড়িয়ে
    পড়ার সাথে সাথে পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ই-
    ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড’র  শ্রমিকরা প্রকল্প এলাকায় কাজ শুরু করে। দিনে কাজ
    শেষ না হওয়ায় রাতেও কাজ চলে তাদের। তবে প্রবল বর্ষন তাদের প্রধান অন্তরায়
    হয়ে দাড়ায়। প্রকল্প এলাকায় বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অঘোষিত সতর্কতা
    বিরাজ করছে। যাতে থলের বেড়াল বেড়িয়ে না পড়ে। এদিকে পুনর্বাসন প্রকল্পে ৯৫০ স্কয়ার ফিট সম্বলিত প্রতিটি ’এ’ টাইপ বাড়ীর
    নির্মান ব্যয় ২১ লক্ষ টাকা এবং ৮৫০ স্কয়ার ফিট সম্বলিত ’বি’ টাইপ বাড়ীর
    নির্মান ব্যয় ১৮ লক্ষ টাকা। প্রকল্প এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের
    ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, পাকা ঘাট সহ পুকুর, দোকান, বাজার, খেলার মাঠ,
    কবরস্থান, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, স্কুল সহ বহুবিধ সুবিধা রয়েছে।
    কিন্তু বর্ষায় ড্রেন, কালভার্ট, গাইডওয়াল, ঘর ধ্বসে পড়ায় প্রকল্পের
    উপকারভোগীদের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে।লালুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন তপন বিশ্বাস বলেন, ’পায়রা পুনর্বাসন
    প্রকল্পের ড্রেন, কালভার্ট, গাইডওয়াল, ঘর বর্ষায় ধ্বসে পড়েছে বলে
    স্থানীয়দের কাছে শুনেছি।’

    এ বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড’র প্রজেক্ট
    ম্যানেজার শামসুল হক’র সাথে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি অসুস্থ বলে বন্দর
    কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ার সাজেদুর রহমান’র সাথে কথা বলতে বলেন।

    ইঞ্জিনিয়ার সাজেদুর রহমান বলেন, ’আমরা মহল্লা পাড়া পুনর্বাসন প্রকল্পে
    আছি। একটু রিপেয়ার কাজ করছি। এ বিষয়ে জানতে হলে বন্দর কর্তৃপক্ষের
    উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে হবে, যাদের গণমাধ্যমে কথা বলার
    এখতিয়ার আছে।’

    পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল
    হাসান বলেন, ’আমি ভূ-সম্পত্তি বিষয়ে বলতে পারবো। কনষ্ট্রাকশন বিষয়টি আমার
    এখতিয়ার বহির্ভূত। ইঞ্জিনিয়ার সাজেদুর রহমান প্রকল্প এলাকায় আছে। উনি
    কনষ্ট্রাকশন বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন।’

    এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন)
    মহিউদ্দীন আহমেদ’র মুঠো ফোনে সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করে তার ফোন সূইচ অফ
    পাওয়া যায়।