দর্পণ ডেস্ক : হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সৌরভ গাঙ্গুলী। আপাতত তাকে কয়েকদিন বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে সৌরভকে। চিকিৎসকেরা নিয়ম করে রক্তচাপসহ রক্তকে তরল রাখার ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বদলাতে হবে খাদ্যাভাসও। কয়েকদিন পর কাজে ফিরতে বাধা নেই বোর্ড প্রেসিডেন্টের।

দ্বিতীয় দফায় অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির পর পাঁচ দিনের মাথায় ছাড়া পেলেন সৌরভ। রোববার বেলা পৌনে ১১টায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন সকলের প্রিয় দাদা। এরপরই হেঁটে নিজের লাল মার্সিডিজে চেপে বেহালার উদ্দেশে রওনা হন। সৌরভের সঙ্গে ছিলেন চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসু এবং সরোজ মণ্ডল।

সৌরভের ছাড়া পাওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে বাইরে ভিড় জমান ভক্তরা। তাদের সবাইকে আশ্বস্ত করতে গাড়ি থেকেই হাত নাড়েন দাদা। এমনকি বাড়ি ঢোকার মুখেও শুভানুধ্যায়ীর ভিড়ের মুখে পড়ে সৌরভের গাড়ি।

চলতি বছরের শুরু থেকেই বিসিসিআই সভাপতির অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন দেশের সাধারণ মানুষ থেকে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী থেকে তারকারা। ২ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।

সৌরভের তিনটি ধমনীতে ব্লকেজ ধরা পড়ে। ডান দিকের ধমনীতে প্রায় ৯০ শতাংশ ব্লকেজ ছিল। সেখানে স্টেন্ট বসানোর পর গত ৭ জানুয়ারি উডল্যান্ডস হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন মহারাজ। সে সময় সৌরভকে দেখতে কলকাতায় এসেছিলেন ডা. দেবী শেঠি।

সৌরভকে দেখে ডা. দেবী শেঠি বলেছিলেন, প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ম্যারাথনেও দৌড়তে পারবেন। সেবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার কয়েকদিনের মধ্যেই গত বুধবার আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন বিসিসিআই সভাপতি। এবার তাকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সৌরভের ইকো কার্ডিওগ্রাম এবং ইসিজি-তে কয়েকটি সমস্যা ধরা পড়ে। সেই রিপোর্ট দেখার পরই ধমনীতে আরও দু’টি স্টেন্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার ডাঃ দেবী শেঠি এবং ডাঃ অশ্বিন মেহতার তত্ত্বাবধানে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয় সৌরভের। অপারেশনের পর সুস্থ বোধ করায় কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রেখে মহারাজকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পর পর দিন কয়েকের ব্যবধানে সৌরভ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগে শুভানুধ্যায়ীরা।