দর্পণ ডেস্ক : সারাবিশ্বেই করোনা মহামারির কারণে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। এর প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও করোনার ধাক্কা সামলাতে পারছে না। তারাও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে।

শনিবার অ্যাপলের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে ৫৩টি এবং যুক্তরাজ্যে ১৬টি স্টোর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এবং যুক্তরাজ্যে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য এসব স্টোর বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে অ্যাপলের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা যেসব স্থানে সেবা দিচ্ছি সেখানকার কিছু কমিউনিটিতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে সাময়িক সময়ের জন্য আমাদের স্টোরগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি।’

তবে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটলে কর্মীদের আবারও কাজে ফিরিয়ে আনা হবে এবং গ্রাহকদের আবারও আগের মতোই সেবাদান করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে কবে নাগাদ অ্যাপল তাদের স্টোরগুলো আবারও খুলে দেবে সে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।

গত কয়েক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ ৭৭ হাজার ৭৬৮। এর মধ্যে মারা গেছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৪০১ জন।

তবে ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৪৫ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৭২ লাখ ৮ হাজার ৯২২। দেশটিতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ২৭ হাজার ৯৬৩ জন।

অপরদিকে, যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪ হাজার ২১৯। এর মধ্যে মারা গেছে ৬৭ হাজার ৭৫ জন। দেশটিতে বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ১ হাজার ৩৬৪ জন।

সংক্রমণ বাড়তে থাকায় শনিবার কার্যকরী লকডাউন জারি করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ইংল্যান্ডের প্রায় দেড় কোটির বেশি মানুষ লকডাউনের আওতায় থাকছে বলে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, লন্ডন এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে নতুন করে ৪ মাত্রার লকডাউন জারি থাকবে এবং ওই এলাকার লোকজনকে বাড়িতেই অবস্থান করতে হবে। তবে প্রয়োজনীয় কাজে তারা বাইরে যাওয়ার অনুমতি পাবেন বলে জানানো হয়েছে।লকডাউনের আওতায় অপ্রয়োজনীয় সব ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনোদন বন্ধ থাকবে।