দর্পণ ডেস্ক : প্রতি বছরের মতো এবারও জানুয়ারিতে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। বর্তমান মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছর বাণিজ্য মেলা হবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। কারণ সারাবিশ্বেই করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটছে না।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। নামে ‘আন্তর্জাতিক’ হলেও বাস্তবে সেই রূপ দিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণখালীর বাগরাইয়াটেকে (পূর্বাচলে) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’ প্রকল্পটি। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গড়াচ্ছে প্রকল্পটি। তবে এটি আদৌ আন্তর্জাতিক মানের হবে কি না, হলেও কবে হবে— সবই অনিশ্চিত।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘এবার বাণিজ্য মেলা হবে কি-না, এটা এখনই বলা যাচ্ছে না। কারণ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভালো নয়। তবে মেলা হলে রূপগঞ্জেই হবে। মূল হল রুম অনেক আগেই দাঁড়িয়ে গেছে। বাকি টুকটাক কাজও হয়ে যাবে। তবে এটাকে ন্যূনতম আন্তর্জাতিক মানের করতে চাইলে আরও কিছু সংযোজন করতে হবে। সেটার জন্য আরও সময় লাগবে। কিন্তু সেই সংযোজন করা হবে কি-না, সেটা আমি বলতে পারব না।’

‘কথা হলো, এটাকে আমরা কী বানাতে চাই, সেটা বড় জিনিস। সেটাই এখনও আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। কারণ আন্তর্জাতিক মানের একটা বিজনেস হাব হবে বাংলাদেশে; তার জন্য পার্কিং, আবাসিক ব্যবস্থা, এক্সিবিশন হলসহ আরও কত কিছু লাগবে। এগুলো এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’

‘এখানে কর্তৃপক্ষ কী বানাতে চায়, সেটা তাদের ওপর নির্ভর করছে। কর্তৃপক্ষ যদি বলে— যেটা হয়েছে, এখানেই আমরা মেলা করব, তাহলে আর কিছু লাগবে না। এখন কর্তৃপক্ষ এটাকে যদি আন্তর্জাতিকভাবে খুব আকর্ষণীয় করতে চায়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের এখানে টানতে চায়, তাহলে আরও অনেক কিছু যোগ করতে হবে। তবে সেগুলো এখনও চূড়ান্ত হয়নি’— যোগ করেন প্রকল্প পরিচালক।