Prime Minister of New Zealand Jacinda Ardern places her hand over her heart as she walks past family of those lost during a national remembrance ceremony at North Hagley Park in Christchurch on March 29, 2019. - The remembrance ceremony is being held in memory of the 50 lives that were lost in the March 15th mosque shootings in Christchurch. (Photo by Marty MELVILLE / AFP)

দর্পণ ডেস্ক : নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বিলম্বিত হওয়া নিউজিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই ভোটগ্রহণ চলে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বুথ ফেরত জরিপে এগিয়ে রয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্নের দল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিশ্চিতভাবেই তিনি আবারও প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।

মোট ১৭ জন প্রার্থীর অংশগ্রহণ থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসলে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা জাসিন্ডা ও ন্যাশনাল পার্টি প্রধান জুডিথ কলিন্সের মধ্যে। বিবিসি বলছে, নির্বাচনে জাসিন্ডার দল যে সর্বোচ্চ আসন পেতে যাচ্ছে, তা প্রায় নিশ্চিত। তবে পার্লামেন্টারি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তার দল ক্ষমতায় আসবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। তেমনটা ঘটলে তা হবে নজিরবিহীন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে মিক্সড মেম্বার প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টশন ধারার পার্লামেন্টারি ব্যবস্থা চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কেউ এই ধারার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

গত মাসে (সেপ্টেম্বর) এই ভোট হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যায়। অর্ধকোটির কিছু বেশি বাসিন্দার দেশ নিউজিল্যান্ডে গত ৩ অক্টোবর থেকে চলা আগাম ভোটে অংশ নিয়েছে ১০ লাখের বেশি মানুষ।

ক্রাইস্টচার্চ হামলাসহ বিভিন্ন সংকটে নেতৃত্বের জন্য বিশ্বজুড়েই আলোচিত নাম জাসিন্ডা। কোভিড নাইনটিন নিয়ন্ত্রণে সাফল্য নির্বাচনী মাঠে বহুগুণ এগিয়ে দিয়েছে তাকে। সবগুলো জরিপেই একচ্ছত্র শ্রেষ্ঠত্ব ৪০ বছর বয়সী কিউই প্রধানমন্ত্রীর।

আর্ডার্ন বলেছেন, আমরা চাই তারা ভোটাধিকার প্রয়োগের চর্চা করুক ব্যস্ত নাগরিকরা। আমাদের লক্ষ্য দলের জন্য প্রতিটি ভোট নিশ্চিত করা। শক্তিশালী, স্থিতিশীল সরকার গঠনে যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার।

অবশ্য জরিপের ফলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রক্ষণশীল ন্যাশনাল পার্টি প্রধান জুডিথ কলিন্স। দাবি, আগে বহুবারই ভুল প্রমাণিত হয়েছে জরিপ। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জুডিথ সরকারের অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসেবা আর আবাসন খাতে ব্যর্থতার প্রশ্ন সামনে আনতে চান।