হজ ও ওমরাহ পালনকারীরা ইবাদত-বন্দেগির সময় অনেক বিরূপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। এজন্য হজ ও ওমরাহ পালনকারীকে স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এক্ষেত্রে সাধারণ কোনো সমস্যাও অবহেলা করা যাবে না। কারণ অধিকাংশ স্বাস্থ্যগত সমস্যা সৃষ্ট হয় সহজ সাধারণ নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করার জন্য।

* ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা, নিয়মিত গোসল করা এবং পানি ও সাবান অথবা কোনো পরিচ্ছন্নকারী বস্তু দিয়ে নিয়মিত হাত ধৌত করুন।

* খাবারের আগে-পরে, বাথরুম ব্যবহারের পর, হাঁচি বা কাশি দেয়ার পর এবং বাইরে থেকে আবাসস্থলে আসার পর ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।

* মেঝেতে থুতু ফেলার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন- এটি একটি অশোভন অভ্যাসও বটে। যেহেতু এটি রোগব্যাধি সংক্রমণের একটি ঝুঁকিপূর্ণ উৎস।

* কাশি বা হাঁচি দেয়ার সময় রুমাল দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে নিন। অতঃপর তা আবর্জনার ঝুড়িতে ফেলে দিন।

* রুমাল না থাকলে হাত ব্যবহার না করে উপরের বাহুতে কাশি বা হাঁচি দিন।

* সংক্রমক ব্যাধি যেন না ছড়ায় সেজন্য নির্ধারিত টয়লেট বা কমোড ছাড়া অন্য কোথাও মলমূত্র ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকুন। এটি একটি অশোভনীয় অন্যায় আচরণও বটে।

* অবশিষ্ট খাবার বা বর্জ্য রাস্তায় ফেলবেন না। এগুলো নির্ধারিত স্থানে ফেলুন।

* বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা এড়ানোর জন্য নিয়মিত পোশাক পরিবর্তন করে পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করুন।

* প্রতিদিন আপনার বাসস্থানের পরিচ্ছন্নতার দিকে মনোযোগ দিন।

* নিয়মিত আপনার মুখ ও দাঁত পরিষ্কার করুন।

গরম এবং সানস্ট্রোক থেকে সুরক্ষার জন্য :

হজের বিভিন্ন বিধিবিধান, যেমন- তাওয়াফ, সায়ী, কংকর নিক্ষেপ ইত্যাদি নিয়ম প্রচণ্ড ভিড় ও গরমের মধ্যে পালন করেন। তখন তিনি নিজেও কষ্টের সম্মুখীন হন এবং অপরকেও কষ্টে ফেলেন। অথচ কম ভিড় এবং মাঝারি তাপমাত্রার সময় তা পালন করা শরীরের জন্য আরামদায়ক এবং অধিক মনোযোগ ও প্রশান্তির সঙ্গে ইবাদত করার সহায়ক। কেউ কউ আবার হজ ও ওমরাহ’র সময় অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন এবং যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম গ্রহণ করেন না। এ ধরনের আচরণের কারণে তাকে অনেক কষ্ট, ক্লান্তি ও দুর্বলতার শিকার হতে হয়।

* পানিশূন্যতা দূর করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, জুস ইত্যাদি পান করুন।

* অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম না করে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম গ্রহণ করুন।

* রোদে হালকা রঙের ছাতা ব্যবহার করুন এবং যথাসম্ভব রোদ এড়িয়ে চলুন।

– সাইফ আহমাদ