অনলাইন ডেস্ক : গ্রীষ্মের সময় প্রচন্ড তাপদাহের কারণে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি দেখা দেয়। সূর্যের তাপ যখন অনেক বেশি থাকে তখন দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে। এ সময় অতিরিক্ত ঘাম হয়, শরীরে অনেক ক্লান্তিও বোধ হয়। তীব্র তাপের কারণে শরীরে তাপমাত্রাও দেখা দেয়। ঘামের কারণে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে পানিশূন্যতা দেখা দেয়।

হিট স্ট্রোকের বেশ কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে। যদি প্রচণ্ড গরমের সময় কারো প্রচুর ঘাম, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়া,দ্রুত শ্বাস নেওয়া, তীব্র তাপমাত্রা, শরীরে লাল রঙের র‌্যাশ দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে তিনি হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময় ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরন করলে রোগী কিছুটা আরাম বোধ করবেন।

পেঁয়াজের রস হিট স্ট্রোকের জন্য দারুন উপকারী। রোগী অসুস্থ বোধ করলে কিছু পরিমান পেঁয়াজের রসঁ আক্রান্তের কানে এবং বুকে লাগান। এটা শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে। এছাড়া কাঁচা পেঁয়াজ সালাদের সঙ্গে খেলেও উপকার পাবেন।

যখন অতিরিক্ত ঘাম হয় তখন শরীরে ইলেকট্রলাইটের ভারসাম্য হারায়। এই ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে এক গ্লাস পানিতে অল্প পরিমানে বেকিং সোডা মেশান। এতে সামান্য ফলের রস এবং লবণও মেশাতে পারেন। দশ মিনিট পর পর এই পানীয়টি পান করুন।

ডাবের পানি খেলে প্রাকৃতিকভাবেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে যায়। অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীর থেকে যে পানি বেরিয়ে যায় ডাবের পানি সেই ঘাটতি পূরণ করে।

ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ অ্যালোভেরা জুস হিট স্ট্রোকের জন্য খুব উপকারী।

তেতুলের রসও হিট স্ট্রোকের জন্য বেশ কার্যকরী। এজন্য কিছু তেতুল সিদ্ধ করে তাতে হলুদ এবং মধু মেশান। কারো শরীরে হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে এই মিশ্রণটি খাওয়ান। এটি রোগীকে সুস্থ হতে সাহায্য করে।