দর্পণ ডেস্ক : ঝড় শেষ। প্রকৃতি এখন অনেকটাই শান্ত। কিন্তু ঝড়ের আঘাতে বিপর্যস্ত চারপাশ। শক্তিশালী টাইফুন হাগিবিসের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে জাপান। নতুন করে আরও চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৩ জনে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জনের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে বলেন, দুর্গতদের সব ধরনের সহায়তা দেবে সরকার।

জাপানে ঘূর্ণিঝড় হাগিবিস আঘাত হানার পর রাজধানী টোকিওর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও বেশ কয়েকটি এলাকার চিত্র এখনও অপরিবর্তিত। ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে নিজ নিজ এলাকা আবারও বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় একজন বলেন, আবুকুমা নদীর পানি আগে কখনই এতোটা বাড়তে দেখিনি। বহু বাড়ি একেবারে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় আরেকজন বলেন, মনে হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দুর্যোগের ভয়াবহতা এমন মারাত্মক রূপ নিয়েছে। এখন নিশ্চয়ই পরিবেশকে নিয়ে গুরুত্ব দিয়ে ভাবার সময় এসেছে।

নদী তীরবর্তী অর্ধশতাধিক এলাকার ১০ হাজারের বেশি বাড়িঘর এখনও ডুবে আছে বন্যার পানিতে। লাখ লাখ পরিবার পানি আর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। দুর্গত এলাকাগুলোতে দমকল বাহিনী, সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ডের এক লাখের বেশি কর্মীর অভিযান চালাতে বেশ বেগ পেত হচ্ছে। তবে নিখোঁজদের সন্ধান আর ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় জাপান সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে।

তিনি বলেন, দুর্যোগের কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবন আর আর্থিক অবস্থার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বহু মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সরকার দুর্গতদের জন্য সবধরণের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

এদিকে অধিক বৃষ্টিপাতের পর মঙ্গলবার স্থানীয় চিকুমা নদীর বাঁধ ভেঙে নাগানো, ফুকুশিমাসহ ১২টি এলাকা কাদায় ডুবে গেছে। নদীতীরবর্তী এলাকার ২৮০টির বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া দুর্গত এলাকাগুলোতে এখনও বন্ধ রয়েছে রেল বা সড়ক পথে যোগাযোগ। পরিস্থিতি কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে এখনও অনিশ্চয়তায় কর্তৃপক্ষ।