অনলাইন ডেস্ক :সোরিয়াসিস ত্বকের একটি প্রদাহজনিত রোগ যা সংক্রামক বা ছোঁয়াচে নয়। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী চর্মরোগ যা কখনোই সম্পূর্ণ সারে না। নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করলে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। সাধারণত মানুষের ত্বকের কোষ প্রতিনিয়ত মারা যায় এবং নতুন কোষ তৈরি হয়।সোরিয়াসিস রোগীর ক্ষেত্রে এই কোষের সংখ্যা ও বিস্তারের মাত্রা অস্বাভাবিক হয়ে থাকে। ত্বকের সবচেয়ে গভীর স্তর থেকে মৃত কেরাটিনোসাইট উপরের স্তরে চলে আসতে সাধারণত ২৮ দিন সময় লাগে।

কিন্তু সোরিয়াসিস রোগীর ক্ষেত্রে পাঁচ থেকে সাতদিন সময় লাগে। এই রোগে সাধারণত শরীরের একটি নির্দিষ্ট অংশের চামড়া পুরু হয়ে যায়। আক্রান্ত স্থানে ত্বক রুপালি সাদা চামড়া দ্বারা আবৃত থাকে। অনেক সময় চুলকানিও থাকতে পারে। সাধারণত কনুই, হাঁটু, নাভি, মাথার ত্বক, নখ ইত্যাদি স্থানে প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত হয়। রোগ দীর্ঘমেয়াদী হলে সম্পূর্ণ শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- যকৃতের রোগ, আর্থাইটিস, রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া, হৃদরোগ ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সোরিয়াসিসে আক্রান্ত ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে, তাই ময়েশ্চারাইজার হিসেবে বিভিন্ন ধরনের তেল, পেট্রোলিয়াম জেলি, লোশন ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়। পাশাপাশি আলট্রাভায়োলেট থেরাপি ও বায়োলজিকেল বিভিন্ন ওষুধ সোরিয়াসিস চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।