অনলাইন ডেস্ক : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বাসার নামফলকের একটি ছবি ভাইরাল হয়। যেখানে বাসার নামের নিচে যার নাম লেখা হয়েছিল সেই নামের আগে যুক্ত ছিল ‘ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।’ এরপরই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। ছবির সত্যতা নিয়ে অনেকে সন্দেহ পোষণ করলেও ছবিটি আসলেই সত্য এবং মিরপুরের রূপনগরে এই নামফলকযুক্ত একটি বাড়ি রয়েছে। নাম ফলকে লেখা রয়েছে

রোকেয়া মঞ্জিল
স্বামী ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা
হাজী মোঃ আহছান উল্লাহ
বাড়ি নং ৪৯০, রোড ১৪
রূপনগর, ঢাকা।

বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল হইচই চলে। তবে এরই প্রেক্ষিতে আহসান দীপু নামের এক তরুণ ছবির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঘটনাস্থলে আজ ভোর ৬ টায় গিয়েছেন এবং একাধিক ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে ভারপ্রাপ্ত অর্থ কেন লেখা রয়েছে তা তাঁরা জানেন না। স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, আসলে ‘ভারপ্রাপ্ত’ ভুলে লেখা হয়েছে। তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি মারা গেছেন। নামফলক বানানো হয়েছে তারাই ভুল করেছে। আর এটি এক দুইদিন আগে বসানো তাই চোখে পড়েনি বাসাওয়ালাদের। এবং এটা দৃষ্টিগোচর হওয়া মাত্র তুলে ফেলা হয়েছে।

ছবি সংক্রান্ত বিষয়ে আহসান দীপু ফেসবুকে লিখেছেন, গতকাল থেকে ভাইরাল হওয়া আমার কাছে একদমই সত্য মনে হয়নি। একজন মুক্তিযোদ্ধা আবার কীভাবে ভারপ্রাপ্ত হয়। নাকি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কেউ ইয়ার্কি মারছে। তাই আজ খুব সকালে ছবিটির সত্যতা খুঁজতে বেরিয়ে পড়ি। ভেবেছিলাম খুব সহজ হবে খুঁজে বের করা।

তিনি লিখেছেন, রূপনগর এলাকায় ঢুকে প্রথমে ১৪ নম্বর বাসা খুঁজে বের করবো। তারপর মিলিয়ে দেখবো। কিন্তু পেলাম না। ১৪ নম্বর গলি দিয়ে চার পাঁচবার ঘোরাঘুরি করে মনে হলো দুই একজন আড়চোখে দেখছেন। তারপর দ্বিতীয় ছবিটির সাইনবোর্ড দেখে আশ্বস্ত হলাম এই ভেবে যে এ রোডে ৪৩ টার বেশি প্লট নেই। তাহলে কি ফটোশপে এডিট করা ছবি এটি। যা ভাইরাল হয়েছে সারা ফেসবুক জুড়ে।

তিনি উল্লেখ করেন, তাহলে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এমন তামাশা কেন! এটা নিয়ে গতকাল যারা কথা বলছিলেন ফেসবুকে তাদের মধ্যে লেখক আহমেদ রিয়াজ ভাইয়ের কথা মনে পড়লো। তিনি বলেছিলেন রূপনগরে একটি টিনশেড এরিয়া আছে । তাই সেখানে ছূটলাম। মোটামুটি একটু নিম্নমানের(ঘিঞ্জি) এলাকা। সেখানেও ১৪ নম্বর রোড আছে। এবং খুব সহজেই পেয়ে গেলাম ৪৯০ নম্বর বাড়িটি (তৃতীয় ছবি)। একজন ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার ঠিকানা। অতঃপর বুঝলাম সব ছবিই এডিটিং নয়।

এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে নামফলকটি অপসারণ করা হয়েছে।

কালের কণ্ঠ অনলাইন