চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শুক্রবার সহায়তার চেক বিতরণ করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ- ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ২০০৩ সালে বাঁশখালীর সাধনপুরে ১১ জনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া তিনজনের মাঝে ৪৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ সময় সীতাকুণ্ডে বি এম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং যুব সংগঠনকে যুবকল্যাণ তহবিলের অনুদানের চেকও বিতরণ করা হয়।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন, কারা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে। যারা রাষ্ট্রটাই চায়নি, সেই জামায়াতে ইসলামী এখন বিএনপির প্রধান সহযোগী। তাদের যে ২২ দলের রাজনৈতিক জোট, সেখানে বহু দল আছে, যাদের নেতারা আফগানিস্তান গিয়েছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি সরকার গঠনের পর সমগ্র দেশে তাণ্ডব চালিয়েছিল। সেই তাণ্ডবের পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশ থেকে পালিয়ে আসা ধর্মীয় সহিংসতার শিকার মানুষের জন্য ঢাকায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খুলতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা কোটালিপাড়া থেকে শুরু করে বরিশালের বানারিপাড়া, মাগুরাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতন হয়েছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে বাড়ি দখল করে রাতারাতি সেই বাড়ির মধ্যে পুকুর খনন করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, তাদের অপরাধ তারা অসাম্প্রদায়িক দল আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। বাঁশখালীতেও একই অপরাধে তৎকালীন সংসদ সদস্যের নিকটাত্মীয় বিএনপি নেতা আমিন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অগ্নিকাণ্ড ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেদিন সংসদ সদস্যের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনি এই দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।

মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে হলে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান এই দেশে থাকতে পারে না। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সমূলে বিনাশ করতে হবে, তাহলে রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে। সাম্প্রদায়িকতার কারণে পাকিস্তান রাষ্ট্র আজকে এগোতে পারছে না। যেখানেই সাম্প্রদায়িকতা আছে সেখানেই রাষ্ট্র এগোতে পারে না।

এদিনই তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের মাল্টিপারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জি এম মাহফুজা আক্তার প্রমুখ।