ঢাবি অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ। ফাইল ফটো

সাত কলেজের ‘খ’ ইউনিটে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন হয় ঢাবির বিগত ১০ বছরের প্রশ্ন থেকে। অর্থাৎ এগুলো থেকে কার্যকরী প্রস্তুতি নিলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমন পাওয়া যায়। তবে বিষয় আর পছন্দের কলেজ পেতে হলে বেশি নম্বরের প্রয়োজন।

বাংলা অংশের ২৫ টি প্রশ্নের মধ্যে বাংলা প্রথম পত্র থেকে ১২-১৪ টি প্রশ্ন থাকবে। বাংলা দ্বিতীয় পত্রের সমাস, বাগধারা, পরিভাষা, সন্ধি, অনুবাদ, প্রকৃতি ও প্রত্যয় থেকে একটি করে প্রশ্ন থাকবে।

ভর্তি পরীক্ষায় বাংলা অংশের প্রস্তুতির জন্য নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বই ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা বইগুলো পড়তে হবে।

ইংরেজি অংশে বোর্ড বইয়ের প্যাসেজ থেকে ৪-৫ টি প্রশ্ন, ইংরেজি কবিতা থেকে ১-২ টি প্রশ্ন, Figure of speech ও Correct spelt থেকে একটি করে প্রশ্ন থাকবে। এছাড়াও Verb, Preposition, Noun, Phrase, Synonym ও Antonym থেকে একটি করে প্রশ্ন থাকবে। 

ইংরেজি অংশের প্রস্তুতির জন্য ঢাবির যেসব ইউনিটে ইংরেজি প্রশ্ন আসে সেগুলো এবং যে বিষয়গুলো বারবার রিপিট হয় সেগুলো পড়তে হবে।

সাধারণ জ্ঞান অংশে সাম্প্রতিক বিষয় থেকে ২-৩ টি প্রশ্ন, আইসিটি বিষয় থেকে ২-৩ টি প্রশ্ন, নোবেল পুরস্কার থেকে একটি প্রশ্ন, খেলাধুলা থেকে ২-১ টি প্রশ্ন, নৃগোষ্ঠী থেকে একটি প্রশ্ন, অর্থনীতি থেকে ২-৩ টি প্রশ্ন, ভূগোল ও পরিবেশ থেকে ২-৩ টি প্রশ্ন, মুসলিম সালতানাত/ খিলাফত থেকে ২-৩ টি প্রশ্ন, মুক্তিযুদ্ধ থেকে ৩-৪ টি প্রশ্ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১-২ টি প্রশ্ন, বিভিন্ন দেশের ভাষা, সরকার, রাজধানী থেকে ২-১ টি প্রশ্ন, সংবিধান থেকে ১-২ টি প্রশ্ন, জাতিসংঘ, সার্ক এ জাতীয় সংস্থা থেকে কয়েকটি প্রশ্ন থাকবে। এভাবে সর্বমোট ৫০ নম্বরের প্রশ্ন  থাকবে সাধারণ জ্ঞান অংশে।

সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে একইভাবে ঢাবির যেসব ইউনিটে সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন আসে সেগুলো দেখতে হবে। এর বাইরে সাম্প্রতিক বিষয় থেকেও ২-৪ টা প্রশ্ন হয়। এজন্য পরীক্ষার আগের বিগত ৩-৪ মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বা এই সম্পর্কিত যেই বইগুলো বাজারে পাওয়া যায় সেগুলো পড়তে হবে।