ফাইল ফটো

রোববার অর্থ বিভাগের বাজেট অনুবিভাগ-১ থেকে উপসচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের সই করা পরিপত্রে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটে কতিপয় খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- নতুন/প্রতিস্থাপক হিসেবে সব ধরনের যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) বন্ধ থাকবে। শুধু জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয়, ভ্রমণ ব্যয়, অন্যান্য মনিহারি, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি ও আসবাবপত্র খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে।

এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ খাতে (প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ব্যতীত) বরাদ্দকৃত অর্থের ৫০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে বলেও পরিপত্রে বলা হয়।

এর আগে, সরকারি-বেসরকারি সব খাতে ব্যয় কমানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্বাহী আদেশে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি খাতকেও এসব মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে পরিকল্পনামন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় গত মে মাসে সরকারপ্রধান এসব নির্দেশনা দেন।