অনলাইন ডেস্ক

সজীব ওয়াজেদ জয় (ফাইল ছবি)

শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, নিরাপদ সড়কের দাবিতে সাম্প্রতিক আন্দোলনে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের ভূমিকা নিয়ে।

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া ওই স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘ধরুন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ও সফল ব্যক্তি হিসেবে আন্দোলনের সময় আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলতাম আন্দোলনরত তরুণরা আমাদের কর্মীদের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আক্রমণ করে হত্যা করেছে এবং সেই কথার প্রেক্ষিতেই আমাদের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি আক্রমণ করতো। তাহলে কি বলা যেত আমি সহিংসতা উসকে দিয়েছি? নাকি আমি বাকস্বাধীনতার অধিকার দ্বারা সুরক্ষিত থাকতাম?
আমার কোনো সন্দেহ নেই আজ যেই সুশীল সমাজ, বিদেশি বন্ধুরা ও সাংবাদিকরা শহিদুল আলমের পক্ষে কথা বলছেন, তারা তখন ঠিকই বলতেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সহিংসতা উসকে দিয়েছেন। শুধুমাত্র সফল ও জনপ্রিয় হওয়ার জন্যই কি আজ শহিদুল আলমকে আইনের ঊর্ধ্বে রাখার কথা বলা হচ্ছে? তাহলে কি আমিসহ সকল সফল ও জনপ্রিয় মানুষই আইনের ঊর্ধ্বে?
আমি যে উদাহরণ দিয়েছি, শহিদুল আলম ঠিক তাই করেছেন। তার দেয়া মিথ্যা পোস্ট ও অভিযোগের কারণেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং পুলিশের ওপর ও পার্টি অফিসে হামলা চালায়। একাধিক পুলিশ সদস্য ও আমাদের কর্মীরা আহত হন। আরাফাতুল ইসলাম বাপ্পি নামের আমাদের এক কর্মী তার দৃষ্টিশক্তি চিরতরে হারিয়েছেন। বাপ্পি কি ন্যায়বিচার পাওয়ার যোগ্য না?’

প্রসঙ্গত, আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্যসংবলিত বিভিন্ন উসকানিমূলক ও অপরাধমূলক লেখা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সম্প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। রাজধানীর রমনা থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে রবিবার (৫ আগস্ট) রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।