দর্পণ ডেস্ক : ৫০০ টাকা চুরি করে ধরা পড়েছিলেন সিদ্দিক। জনতা ধরে গণধোলাই দেয়ার সময় তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘আমার ভুল হয়েছে ক্ষমা করে দ্যান।’ শুধু এই কথাটির কারণে সিদ্দিককে নিয়ে এখন পর্যন্ত বানানো হয়েছে শত শত ভিডিও।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুরের সিদ্দিক এখন ইউটিউবারদের কল্যাণে গোটা দেশের মানুষের কাছে পরিচিত।
জানা গেছে, প্রতিদিন একাধিক ইউটিউবার সিদ্দিকের বাড়িতে যান। তাকে নিয়ে বানানো হয় ভিডিও। কিন্তু কেন এত আলোচিত সিদ্দিক?
নেটিজেনরা বলছেন, সিদ্দিকের সহজ স্বীকারোক্তিতে এমন কিছু ছিল যা তাকে সংঘবদ্ধ মারধর থেকে বাঁচিয়েছে। চুরি করলে সাধারণত চোরদের যে যেভাবে পারে হাতের খায়েশ মিটিয়ে নেয়। সিদ্দিকের ক্ষেত্রে তা কিন্তু ঘটেনি। বরং তার সংলাপ নিয়ে প্রতিনিয়তই ছোট ছোট নাটক, শর্ট ফিলম, টিকটক ভিডিও, রিল ভিডিও বানানো হচ্ছে।
চুরি করতে গিয়ে সিদ্দিকের এই জনপ্রিয়তার কারণ কী? এমন প্রশ্ন অনেকেরই। সিদ্দিক কি আসলেই চুরি করেছেন? এটাও একটা প্রশ্ন। সিদ্দিককে নিয়ে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ভাইরাল যে ভিডিও সেটি দেখা হয়েছে ৩৩ মিলিয়ন বা তিন কোটি ৩০ লাখ বার। এই ভিডিওতে সিদ্দিক বলছেন, ‘আমি চুরি করি নাই, আমি গিয়ে বলছি আপা আপনার মামা ৫০০ টাকা চাওছে, দেন। উনি সাথে সাথে দিয়া দিছেন। ’
টাকা নিয়ে কেন দৌড় মেরেছিলেন? এর জবাবে সিদ্দিক বলেন, ‘আমার ভুল হয়েছে, ক্ষমা করে দ্যান। ’ তার এই সংলাপ দেওয়ার সময় চোখেমুখে এমন অভিব্যক্তি ছিল, যা নেটিজেনদের সহজেই আকৃষ্ট করে ফেলে। যার ফলে এই ভিডিও কোটি কোটি মানুষ দেখেছে আর তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে অজস্র ভিডিও। এমনটাই অভিমত নেটিজেনদের।
ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের সাইটগুলোতে ঢুকলেই সিদ্দিকের শত শত ভিডিও সামনে চলে আসছে। প্রতিদিন সিদ্দিককে নিয়ে ভিডিও বানানো হচ্ছে, এতে কি তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে?
জানা গেছে, এখন সিদ্দিকের সময় কাটছে ক্যামেরার সামনে। কিন্তু তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। এমনকি একটা মোবাইল ফোন পর্যন্ত সিদ্দিকের নেই। অবশ্য জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, এ কারণে নাকি মোবাইল কিনতে পারছেন না সিদ্দিক। সিদ্দিকের বাড়িতে স্ত্রী ও মা রয়েছে। তার কোনো সন্তান নেই। সে অর্থে সিদ্দিকের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। সিদ্দিক বলছেন, তাকে কেউ তেমন অর্থ দেন না। কেউ কেউ হয়তো কয়েক ঘণ্টা শুটিং করে হাতে ৫০০ বা ১ হাজার টাকা দেন। কিছুদিন আগেও সিদ্দিক ঘুরে বেড়াতেন এবং একটা চায়ের দোকানে কাজ করতেন।