ছবি: ডেইলি বাংলাদেশ

বেলায়েত বলেন, টানা ১৭ দিন অসুস্থ ছিলাম। তেমন পড়াশোনা করতে পারিনি। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা এ বয়সে সাগর পাড়ি দেওয়ার মতো। পরীক্ষা তেমন ভালো হয়নি। ৪৭টি প্রশ্নের উত্তর করতে পেরেছি। দেখা যাক ফলাফল কি হয়। তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

এর আগে, ‘এ’ ইউনিটে প্রথম শিফটের (সকাল ৯টা থেকে ১০টা) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন বেলায়েত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ অ্যাকাডেমিক ভবনের ৪০৬ নম্বর কক্ষে পরীক্ষায় অংশ নেন।

৫৫ বছর বয়সে পরীক্ষা দিতে আসায় তাকে ঘিরে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের মাঝে কৌতুহল তৈরি হয়েছিলো। তাকে এক নজর দেখতে ভীড় জমান অনেকে। কেউবা আবার ফ্রেমবন্দি হন তার সঙ্গে। পরীক্ষা শেষে বেলায়েত দেখা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সঙ্গে।

বেলায়েত শেখ বলেন, ছোটবেলা থেকে আমার সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করার ইচ্ছে। আমি নিজেও গণমাধ্যমে কাজ করছি। তাই এখানে ভর্তি সুযোগ পেলে অবশ্যই সাংবাদিকতা বিভাগে পড়বো। চান্স পাওয়া না পাওয়া তো বড় কিছু না। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি। আমার প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রভোস্ট, শিক্ষকরা অনেক আন্তরিকতা দেখিয়েছেন।

আক্ষেপ নিয়ে বেলায়েত বলেন, সংসারের হাল ধরতে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারিনি। তাই চেয়েছিলাম ভাইদের লেখাপড়া করিয়ে উচ্চশিক্ষিত করবো। কিন্তু সেটাও পারিনি। এরপর নিজের সন্তানদের পড়াতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেক্ষেত্রেও হয়েছি ব্যর্থ। বড় ছেলে অনার্সে দুই সেমিস্টারের পর আর পড়েনি। মেয়েটা মেধাবী ছিল। ভেবেছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবো। কিন্তু সেটাও পারিনি। পরে নিজেই ক্ষোভ থেকে আবার পড়াশোনা শুরু করি।