দর্পণ ডেস্ক : দীর্ঘ অপেক্ষার পর মেট্রোর যুগে পা দিল বাংলাদেশ। আজ বুধবার সকাল ১১টার পর দেশের প্রথম মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর রাজধানীর উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ট্রেনের সব বগি ঘুরে দেখেন শেখ হাসিনা। দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী মেট্রোরেল যাত্রা শুরু করে। ট্রেনটি ২টা ১১ মিনিটে আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছায়। ১৭ মিনিটে শেখ হাসিনা উত্তরা থেকে আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছান।
রাজধানীর নগরজীবনে স্বস্তির বার্তা নিয়ে গণপরিবহনে যুক্ত হচ্ছে মেট্রোরেল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হবে এটি। প্রথম দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা ট্রেন চলাচল করবে। মাঝের কোনো স্টেশনে আপাতত ট্রেন থামবে না। আগামী ২৬ মার্চ থেকে সব স্টেশনে ট্রেন দাঁড়াবে। মেট্রোরেল চালু হওয়ায় ছোট ছোট যানবাহনের ব্যবহার কমবে। জীবাশ্ম ও তরল জ্বালানির ব্যবহার বহুলাংশে কমে যাবে। ঢাকা মহানগরীর যাতায়াতব্যবস্থায় ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ হবে। মহানগরবাসীর কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হবে। যানজট বহুলাংশে কমবে। যানজটের কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তা সাশ্রয় হবে।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, মেট্রো রেল পুরোপুরি চালু হলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার এবং দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। ছয়টি কোচসংবলিত প্রতিটি একমুখী মেট্রো ট্রেন প্রতিবারে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৩০৮ জন যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। মেট্রো রেলে অল্প সময়ে অধিক সংখ্যায় যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হয়। প্রথম ধাপে চলবে ১০ সেট ট্রেন। আরো দুই সেট ট্রেন প্রস্তুত থাকবে। মাঝের চার কোচের প্রতিটিতে যাত্রী ধারণক্ষমতা ৩৯০ জন। দুই পাশের ট্রেইলার কোচের (ইঞ্জিন) প্রতিটিতে সর্বোচ্চ যাত্রী ধারণক্ষমতা ৩৭৪ জন। নারী যাত্রীদের জন্য থাকছে আলাদা কোচের ব্যবস্থা।