পদ্মাসেতু; ছবিঃ সংগৃহীত

এদিকে, সেতু কর্তৃপক্ষ আরো জানিয়েছে পদ্মাসেতুতে থ্রি হুইলার কিংবা সাইকেল চালিয়ে এবং এমনকি হেঁটেও পার হওয়া যাবে না। 

পদ্মাসেতু চালু হওয়ায় এখন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিণাঞ্চলের বাসের চাপ কমবে। রাজধানী ঢাকার গাবতলী ও কল্যাণপুর থেকে আরিচা করিডরে দক্ষিণাঞ্চলগামী বাস চলাচল কমবে। আর বেশির ভাগ বাস সায়েদাবাদ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এতে জ্বালানি, ভোগান্তি ও পথের দূরত্ব কমে আসবে। পদ্মা নদী পাড়ি দিতে ফেরির পরিবর্তে ব্যবহার হবে সেতু।

এই নতুন পথ ব্যবহারের জন্য নতুন করে রুট পারমিট নিতে হবে না বাস মালিকদের। তবে এই রুটে নতুন করে বাস চালু করলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে পারমিট নিতে হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।  

সায়েদাবাদ হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের বাস চলাচল করলেও যাত্রীদের কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন হানিফ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হোসেন। তিনি বলেন, সায়েদাবাদ হয়েই বেশির ভাগ বাস দক্ষিণাঞ্চলে যাবে। তবে দিনের বেলা সব কাউন্টার থেকেই যাত্রীরা ছোট বাসের সেবা পাবে। ফলে তাদের কোনো কাউন্টারেই সমস্যা হবে না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানান, বাসের নতুন রুট পারমিট দেওয়া হলেও ঢাকায় বড় বাসের চাপ বাড়বে না। আগের মতোই চলবে। শুধু ঢাকা থেকে বের হওয়ার পথটা ভিন্ন হবে।

ঢাকা থেকে বাসে কোন জেলার ভাড়া কত: 

পদ্মাসেতু ব্যবহার করে যেসব বাস দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাবে সেসব রুটের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এই ভাড়ার সঙ্গে পদ্মা সেতুর টোল যুক্ত করা আছে। তবে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের টোল যুক্ত করা হয়নি। এই টোল যুক্ত হওয়ার পর ভাড়া আরো কিছুটা বাড়বে।

দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার জন্য ১৩টি রুট নির্ধারণ করেছে বিআরটিএ। সেই রুটের বাস রাজধানীর সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড হয়ে ঢাকা ছাড়বে। গত ৭ জুলাই বাসের এই ভাড়া নির্ধারণ করে সংস্থাটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৩ রুটের বাস ভাড়া হলো ― 

কোন যানে কত টোল —